ওই বৈঠকে জাকির হোসেন ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম সহ বহু নেতা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মফিজুলের বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দশজন কাউন্সিলার ও শহর তৃণমূল সভাপতি বৈঠকে হাজির হননি। তাঁদের উদ্দেশে জাকির হোসেন বলেন, ‘বর্ধিত সভায় সকলকে ডাকা হলেও বেশ কয়েকহন হাজির হননি। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব পছন্দ করি না। সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি গ্রুপবাজি পছন্দ করি না। আমার বিধানসভাতে কেউ যদি গ্রুপবাজি করে, তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় আমি থাকলে আমিও দলের বাইরে চলে যাব।’
আমি দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব পছন্দ করি না। সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি গ্রুপবাজি পছন্দ করি না। আমার বিধানসভাতে কেউ যদি গ্রুপবাজি করে, তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় আমি থাকলে আমিও দলের বাইরে চলে যাব
জাকির হোসেন
জাকির হোসেনের আরও সংযোজন, ‘অনেক কাউন্সিলর আছে, যারা দোতলা, তিনতলা বাড়ি করেছে, তার মানে নিশ্চয় দু’নম্বরি করেছে, দু’নম্বরি করে কেউ আমার কাছে পাড় পাবে না। আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করব। কেউ দুর্নীতি করলে মানব না। সে বিধায়ক হোক বা কাউন্সিলার বা দলের কোন শীর্ষ নেতা। আমি ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীর অপমান হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর অপমান আমি হতে দিতে পারি না।’ এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘যারা গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব পাকাতে চাইছে, দলের অন্দরে বিরোধিতা করছে, কলকাতায় গিয়ে পড়ে থাকছে, তাদের আমি দেখে নেব। ওদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। আমি সরে গেলে ওদের পাশে দশজনও থাকবে না। ওদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হয়েছেন জাকির হোসেন। পদে আসার পর থেকে জঙ্গিপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। দলের বর্ধিত সভা থেকে এভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়ায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। আবার তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, জাকিরের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। সেই সময় দলের বিভিন্ন নেতাকে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। যদিও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই সবাইকে একসঙ্গে চলার কথা বলেছেন। আর এবার নিজের বিধানসভা এলাকাতেও সাফ সেই বার্তাই দিলেন জাকির হোসেন।