অবশেষে রাজবংশীদের স্বপ্নপূরণ। সোমবার কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে উত্তরবঙ্গের প্রায় ২১০টি রাজবংশী স্কুলের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে নিজস্ব ভাষার মাধ্যমের স্কুলের দাবি ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরের জেলাগুলোর জন্য এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকে আমি একটা বড় কাজ করলাম। এখানে অনেক ছোট ছোট রাজবংশী স্কুল ছিল। কিন্তু সেগুলির সরকারি অনুমোদন ছিল না। আজকে আমি এই মঞ্চ থেকে ২১০টি স্কুলের সরকারি স্বীকৃতির কথা ঘোষণা করছি। এই স্কুলে শিক্ষকরা এবার রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকদের ন্যায় বেতন পাবেন।’ স্কুলগুলি এবার থেকে অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন বলেও জানান তিনি।

আজকে আমি একটা বড় কাজ করলাম

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা বংশীবদন বর্মণ এই সিদ্ধান্তের কারণে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে রাজবংশী স্কুলগুলি রয়েছে। তবে এগুলি এতদিন সরকারি স্বীকৃতি পায়নি। সেই স্কুলগুলির কোনওটি ২০১৩ সাল কোনওটি ২০১৪ সাল থেকে চলে আসছে বেসরকারি উদ্যোগে। তবে সরকারি সমস্ত রকম সুযোগ পাবে একই স্কুলগুলো।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সাঁওতালি মাধ্যমে স্কুল চালু করেছে রাজ্য সরকার। সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। রাজবংশী ভাষাকেও মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে এর আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজবংশী মাধ্যমের স্কুলগুলিতে রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ করবে তেমনটাই খবর।

Police Recruitment : পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ১৮ মাসে বছর! ক্ষুব্ধ মমতা
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই স্কুলের স্বীকৃতি প্রদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিজেপির শক্ত ভিত রয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরের জেলাগুলিতে উন্নয়নকে হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলাগুলিতে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি থাকায় তাঁদের শিক্ষার প্রসারে এই সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version