দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার যানজটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রী এবং চালক সকলেই। সারাদিন ওই এলাকায় লেগেই থাকে যানজট। এমনকী কখনও কখনও তো গাড়ির লাইন বিষ্ণুপুর থানার কাছাকাছি পর্যন্ত চলে যায়। তাই যানজট কাটাতে ওই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরেই বাইপাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মাসকয়েক আগে আমতলা বাইপাস নিয়ে ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর জমা পড়েছে বলেও জানা যায়। আর এবার সব দিক খতিয়ে দেখে এই কাজের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, বাইপাস তৈরির জন্য আপাতত জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বিষ্ণুপুর থানার কাছ থেকে একটি রাস্তা বের করে আমতলা – বারুইপুর রোডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। মাটি, ইট ইত্যাদি ফেলে সেই রাস্তার প্রাথমিক কাজও সেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর। এবার তার উপর পিচ দেওয়া হবে। রাস্তা উচু করতে পাথরও ফেলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই সব কাজের জন্য এই টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর।

তবে টাকা বরাদ্দ হলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, বাইপাস তৈরির জন্য সাধারণ মানুষকে জমি দান করতে অনুরোধ করেছিল সরকার। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনও অর্থ না দিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জমি চাওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। অনেকে অবশ্য স্বেচ্ছায় জমি দানও করেছেন। কিন্তু যেহেতু এক্ষেত্রে কোনও ক্ষতিপূরণ বিষয় নেই, তাই কিছু কিছু পরিবার জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি হচ্ছে না বা টালবাহানা করছে। আর তার জেরেই থমকে রয়েছে বাইপাস তৈরির কাজ। যদিও এই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, আমতলায় নিত্যদিনের যানজটের জন্য রাস্তায় বেআইনি পার্কিং, হকারদের ইচ্ছামত ফুটপাথ দখলের বিষয়গুলিই দায়ী। স্থানীয় প্রশাসন এবং ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার ট্রাফিক বিভাগ তরফে এই বিষয়ে বারে বারে পদক্ষেপ করা হলেও, কোনও স্থায়ী সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। হকারদের রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হলেও কয়েকদিন বাদে ফের তাঁরা সেখানে পসরা সাজিয়ে বসে পড়ছেন। পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও সেই একই চিত্র দেখা যায়। ফলে কোনওভাবেই যানজট কাটানো যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যাঁরা এখনও পর্যন্ত জমি দেননি, তাঁরা তা দিয়ে দিলেই গতি পাবে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস তৈরির প্রক্রিয়া।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version