এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোনও অ্যাটাচমেন্ট নেই কোনও মামলাতেই।’ এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শুধু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কিছু বলতে চাই।’ বিচারপতি তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দয়া করে কিছু বলবেন না। আমাদের কাউকে কিছু বলার নেই। আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি। আমার এই অভ্যাস নেই। এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
প্রসঙ্গত, একটি উচ্চ প্রাথমিকের মামলা পার্ট হার্ড করে রেখেছিলেন বিচারপতি সেন। ফলে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শোনার (ডিটারমিনেশন) এক্তিয়ার গেলেও ওই মামলা তিনি শুনতেই পারতেন। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাত প্রসঙ্গ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
কাস্ট সার্টিফিকেট জাল করে মেডিক্যালে ভর্তি নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এই মামলার প্রেক্ষিতে তিনি CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিভিশন বেঞ্চের। প্রথমে সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার প্রেক্ষিতে মৌখিক স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এরপর লিখিত স্থগিতাদেশ দেন। এরপর কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বিচারপতি সৌমেন সেনের বদলি প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির এহেন সংঘাত কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি বিচারপতি সৌমেন সেন। এই প্রথম গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন তিনি।
ইতিমধ্যেই মামলাটি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমে এই মামলা সংক্রান্ত দুই বিচারপতির নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। পাশাপাশি দুই বিচারপতির এই নজিরবিহীন সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিন সপ্তাহ পরে মামলাটির শুনানি হতে চলেছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে ঠিক কী নির্দেশ দেবে সর্বোচ্চ আদালত? সেই দিকে তাকিয়ে সব মহল।
এরই মধ্যে এই মামলা থেকে বিচারপতি সৌমেন সেনের সরে দাঁড়ানো এবং তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।