তিনি আরও যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী…
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই পরিকল্পনাটা আমি মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর জিনাজপুর, দক্ষিণ দিজাপুরের ডিএম-দের করবার অনুরোধ করব। তাতে যদি বাড়ি করে দিতে হয়…, আমি তো চা বাগানে পাট্টা দিচ্ছি, সঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার করে টাকা। সংখ্যালঘুদের জন্যও তো দিলাম, ওদের জন্য দিলে ক্ষতি কী আছে? সুতরাং এটা একটা স্পেশ্যাল ক্যাটাগরি দেখে পরিকল্পনা করে অবিলম্বে আমায় জানাতে হবে, যাতে গঙ্গার ভাঙনে কেউ বিপদে না পড়ে সেটা দেখতে হবে।’
ভাঙনে প্রতি বছরই ক্ষতি হয় মালদা-মুর্শিদাবাদে
প্রসঙ্গত, মালদা ও মুর্শিদাবাদে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রতি বছরই গঙ্গার ভাঙনে কার্যত রাতের ঘুম উড়ে যায় নদী তীরবর্তী মানুষের। ফি বছরই বেশকিছু কাঁচা পাকা বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাও সামনে আসে। ঘটনাকে ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। কিন্তু এই সবের মাঝে সাধারণ মানুষকে প্রতিবছরই ভাঙনের মুখে পড়তে হয়। এরই মাঝে এদিন মালদা ও মুর্শিদাবাদের ভাঙন নিয়ে এই মন্তব্য করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, প্রতি ভোটেই মালদা ও মুর্শিদাবাদের একটা বড় ইস্যু হয়ে ওঠে এই নদী ভাঙন। সেক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জমি দেওয়ার কথা বলে সেই ইস্যুটিকেই পরোক্ষে উস্কে দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।