শীত থাকুক না থাকুক, এ বিয়ের মরশুম। সানাইয়ের সুর-হালকা বৃষ্টি- আর শীতের আমেজ আপাতত বেশিরভাগ মানুষই মজে বিয়ের ভোজ খেতে। আর এই মরশুমে চার হাত এক হল আইনজীবী বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৩০ জানুয়ারি কোচবিহারের মহারাজা প্যালেসে বসেছিল বিয়ের আসর।

সায়ন সুবক্তা। তরুণ এই রাজনীতিবিদের বক্তব্যের ভক্ত সংখ্যা নেহাত কম নয়। উত্তরবঙ্গের কন্যা তমাশ্রী দেবনাথের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। বিয়েতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। সায়ন বলেন, ‘আমরা কেউই টু স্টেট গল্পটির শরিক হব না বা হতে চাই না। অভিন্ন বাংলার গল্প বলতে চাই আমরা। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা জীবনের সম্পর্কে জড়িত হচ্ছি। ‘

সায়ন এবং তমাশ্রীর বিয়ের কার্ডেও এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘৭৩৭ কিলোমিটার কলকাতা কোচবিহারের দূরত্ব সরিয়ে আমরা এক হচ্ছি। ভবিষ্যতে আমাদের প্রেমের গল্পে চেতন ভগতের টু স্টেটস-এর ছোঁয়া চাই না, চাই অভিন্ন হৃদয়ের মতোই অভিন্ন বাংলার গল্প শোনাতে।’

তমাশ্রী দেবনাথ কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থাতে কর্মরত। তমাশ্রী বাম সমর্থক হিসেবে পরিচিত। শোনা গিয়েছে তাঁদের বিয়ের মেনুতে ছিল বিশেষ চমক। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের খাবারই ছিল মেন্যুতে। দুই বঙ্গের মেলবন্ধনেই তৈরি হয়েছিল বিয়ের মেনু।

বিয়ের আগে শিয়ালদা স্টেশনে মোয়া হাতে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সায়ন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের ভেটাগুড়ির জিলাপির সঙ্গে মিশে যাক দক্ষিণের জয়নগরের মোয়া। মিশে যাক উত্তরের বোরোলি মাছের সঙ্গে দক্ষিণের চিংড়ি। বাঙাল আর ঘটির মিষ্টি ঝগড়ার মাঝেই বাড়ুক ভালোবাসার পারদ। শেষ কিছু মাসে আমার ঘন ঘন উত্তরবঙ্গ সফরের অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ ফাইনাল ল্যাপের জন্য ট্রেন চাপছি।’

তাঁদের বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ নয়, দুই হৃদয়ের মেলবন্ধন হিসেবে গোটা বিষয়টিকে দেখছেন অধিকাংশই। শুভেচ্ছাবন্যায় ভাসছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version