সম্প্রতি কেটেছিল আইনি জটিলতা। অবশেষে সুখবর পেলেন TET চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিকে ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে যোগ্যরা TET-এ তাঁরা চাকরি পাবেন, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৬৫। তার মধ্যে আপাতত ৯ হাজার ৫৩৩টি পদ পূরণ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আর সেই আবেদনেই মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

এবার ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ পর্ষদের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়েছে। যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ বা বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এরপরেই স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সরকার নিয়োগ করার জন্য তৎপর। আইনি জটিলতা কাটলেই এই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবার সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি পাওয়ার পরেই তৎপর হল পর্ষদ। সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা থেকে এই প্রার্থীরা নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এই নিয়োগপত্র পাওয়ার বিষয়ে যাঁদের নাম তালিকায় রয়েছে তাঁরা মূলত ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে TET উত্তীর্ণ। ২০২২ সালের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল তার ভিত্তিতে এই নিয়োগের ঘোষণা।

জানা গিয়েছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা থেকেই সুপারিশপত্র পাওয়া যাবে। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। আমরা প্যানেল প্রকাশ করলাম। রাজ্যব্যাপী প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের জন্য এই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সংখ্যাটা ৯ হাজার ৫৩৩। বাকি থাকছে ২ হাজার ২২৫ জন। সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে। তার প্রেক্ষিতে যখনই রায় বেরোবে তখনই বাকিদের নম্বর দেওয়া হবে।’

Supreme Court News : রাজ্যের সুপ্রিম স্বস্তি! ১১,৭৬৫ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলল শীর্ষ আদালত
সমস্ত প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্যানেলে এমনটাই জানান পর্ষদ সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রাথমিক শিক্ষকে চাকরিপ্রার্থীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version