দার্জিলিঙে তুষারপাতের প্রবল সম্ভবনা। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিঙে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমি ঝঞ্জা ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধবার ছিল দার্জিলিং এর মরশুমের শীতলতম দিন। দার্জিলিঙে বুধবার মাইনাস ১.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। তবে আজ তাপমাত্রা একটু বেশী রয়েছে বলেই খবর।
কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি সহ শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপিনাথ রাহা বলেন, পশ্চিমি ঝঞ্জার প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশের দিকে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সমতল এলাকাতেও বৃষ্টি হবে। কয়েকদিন কুয়াশাও থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি দার্জিলিঙের কাছেই তুষার পাত হয়েছিল। দার্জিলিংয়ের সন্দাকফু, টুমলিং, মেঘমা, সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই, দার্জিলিঙ শহরে তুষার পাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনে গিয়ে তুষার পাতের দর্শন পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হবে এ কথা বলাই বাহুল্য। সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন পর্যটকরা।
জানুয়ারির শেষ থেকে পর্যটকদের সংখ্যা নেহাত কম নয় দার্জিলিঙে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ পর্যন্ত পর্যটক সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে। সেখানে দার্জিলিঙের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরে দেখার মজা তো আছেই, সেখানে তুষার পাত সেই উচ্ছ্বাসে অনুঘটকের কাজ করবে। আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে এই মরশুমের প্রথম তুষার পাত হোক দার্জিলিং শহরে, এমনটা আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে দার্জিলিঙে। রাতের দিকে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে আসায় তুষার পাতের লক্ষণ আরও উৎসাহ বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই তুষার পাত জমিয়ে দিক পর্যটন, অপেক্ষায় সকলেই। সন্দকফুর কাছে কালিপোখড়িতে তুষার পাত হলেও এবার শহর ঢাকুক সাদা বরফের চাদরে, প্রহর গুনছেন সকলেই।