মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড দিতে এসে যন্ত্রণায় কাতর হলেন অন্তঃসত্ত্বা এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়া বালিকা শিক্ষা মন্দির স্কুলের। শনিবার ছিল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হতেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন শিক্ষিকা অর্পিতা মল্লিক। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্সে করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই ওই শিক্ষিকা চিকিৎসাধীন।

চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা জানান, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই তিনি তাঁর শিক্ষকতার ডিউটি পালন করছিলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় গতকালও গার্ড দিয়েছেন। এদিনও তিনি স্কুলে এসেছিলেন। তবে হঠাৎই পরীক্ষার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তারপরেই স্কুলের তরফে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারেও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই শিক্ষিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করানো হয়েছে।

শিক্ষিকা বলেন, ‘সবে পরীক্ষা শুরু হচ্ছিল, তার আগেই আমার ব্যথা শুরু হয়ে যায়। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আমায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। স্কুল থেকেই হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর একজন চিকিৎসক সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমায় ভর্তি করিয়ে স্কুলে ফিরে গিয়েছেন। আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে।’ এদিকে ইতিমধ্যেই নির্বিঘ্নে মিটছে পরীক্ষাও। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানায় প্রশ্ন সহজ হয়েছে। পরীক্ষা ভালো হওয়ায় খুশি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকারা।

অন্যদিকে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিতে গেল এক ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানে। শুক্রবার বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্রী। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অঙ্কিতা খাঁয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে বাঙালপুর ইউনিয়ন চমৎকারী হাইস্কুলে। সেইমত শুক্রবার সকালে বীরশিবপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতা মা ও কাকার সঙ্গে বাইকে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাগনানের আমতা মোড়ে অঙ্কিতাদের বাইকের সামনে থাকা অন্য একটি মোটরবাইকের পিছনে ধাক্কা লাগে। তাতেই বাইক উল্টে যায়। আহত হয় অঙ্কিতা। পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে নিজেদের অ্যাম্বুলেন্স করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে বসেই পরীক্ষাও দিচ্ছিল অঙ্কিতা।

এরপর পরীক্ষার মাঝেই ফের অসুস্থ বোধ করে ওই ছাত্রী। বিষয়টি সে জানান কর্তব্যরত ইনভিজিলেটরকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় ফের ছাত্রীকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যবস্থা করা হয় পুলিশি প্রহরার। সেখানে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করেন। কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার পর অঙ্কিতা হাসপাতালে বসেই বাকি বাংলা পরীক্ষা দেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version