কারখানা হবে জানতে পেরে জমি দিয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা জানতে পারেন রাসায়নিক কারখানা তৈরি হবে সেখানে। মাস ছয়েক আগে নির্মাণ কাজও শুরু হয় কারখানার। স্থানীয় গ্রামাবাসীদের অভিযোগ রাসায়নিক কারখানা হলে দূষণ ছড়াবে এলাকায়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষের জমি। দিন পাঁচেক আগে গ্রামের মানুষ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয় এই নিয়ে। কিন্ত প্রশাসনের পক্ষে থেকে কোনও দিশা না মেলায়, অবশেষে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামে স্থানীয় লোকজন। পরে প্রশাসনের তরফে কারখানা তৈরির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পাণ্ডুয়ার হরাল দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলা এলাকায়।

বিডিও যা বললেন…

স্থানীয় মানুষের দাবি, জমির ক্ষতি এবং পরিবেশের দূষণ করা যাবে না। যদিও পাণ্ডুয়া ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সেবন্তী বিশ্বাস বলেন, ‘ওখানে একটি কারখানা হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি জনশুনানি ছিল। সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ, গ্রামবাসী ও পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সদস্যরা হাজির ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ওখানে কারখানা তৈরি হবে কি না তা বলতে পারব না। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান হয়েছে।’

রাসায়নিকের কারখানা হলে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা

পাণ্ডুয়ার হরাল দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলা এলাকায় পাঁচ একর জমিতে কারখানার কাজ শুরু হয়েছিল। রাসায়নিক তৈরির কারখানা হলে মঙ্গলা,কুলবাড়ুই ,মসুরিয়া,সোনটিকরি ও ফতেপুর সহ একাধিক গ্রামে দূষণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় পোস্টার হাতে আন্দোলন শুরু করেন গ্রামবাসীরা। হস্তক্ষেপ করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ ও প্রশাসন।

কী বলছেন গ্রামবাসীরা?
গ্রামবাসী অতনু সরেন, মহম্মদ শাজাহানদের অভিযোগ, ‘জমি কেনার সময় বলা হয়নি যে এখানে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি হবে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি এখানে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি হবে। এর ফলে এলাকায় দূষণ ছড়াবে এবং মানুষ ঠিকভাবে বসবাস করতে পারবে না। আমরা চাই কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি বন্ধ হোক, যাতে মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারে। অন্য কোনও ফ্যাক্টরি হোক, তাতে এলাকার মানুষ সহযোগিতা করবে এবং কাজ পাবে। পরিবেশ বজায় রেখে ফ্যাক্টরি হোক।’ যদিও এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই সবের মাঝে আপাতত বন্ধ কারাখানা তৈরির কাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version