হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল জলপথ। হুগলি নদী পেরিয়ে বিভিন্ন জেটি ঘাটের মাধ্যমে নিত্য হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হাওড়ার চেঙ্গাইল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালির মধ্যে পারাপারের জন্য তৈরি হল নতুন জেটিঘাট। দুই পারের মানুষকে যাতায়াতের সমস্যা দূরীকরণে এই নব নির্মিত জেটি ঘাট অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চেঙ্গাইলের নেপালী ঘাট থেকে পূজালি পর্যন্ত হুগলি নদীপথে ভুটভুটিতে প্রতিদিন কয়েকহাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে চেঙ্গাইলের দুটি জুট মিলের শ্রমিকদের যাতায়াতের অন্যতম পথ এটা। যদিও এই নদীপথে যাতায়াত করতে প্রচুর সমসার সম্মুখীন হতে হত সাধারন মানুষকে। কারন নেপালী ঘাটে কোনও নিদিষ্ট ফেরীঘাট না থাকায় জল কাদা পেরিয়ে নৌকায় ওঠানামা করতে হত সাধারন মানুষকে।

অবশেষে মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে চেঙ্গাইলের নেপালি ঘাটে জেটি তৈরি করল রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেটিটি নির্মাণ করতে ব্যায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বুধবার সাঁতরাগাছি থেকে নব নির্মিত এই জেটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর নেপালি ঘাটে জেটির উদ্বোধন হলেও পূজালির দিকে এখনও জেটি তৈরি না হওয়ায় আপাতত ভুটভুটির মাধ্যমেই নদী পারাপার করা হবে। পরে পূজালির দিকে জেটি তৈরি হয়ে গেলে ভেসেল বা লঞ্চ চালানো হবে। অন্যদিকে, নেপালী ঘাটে জেটি তৈরি হওয়ায় খুশি সাধারন মানুষ থেকে মিলের শ্রমিকরাও। তাঁদের মতে, দীর্ঘদিনের একটা সমস্যার সমাধান হল।

স্থানীয়দের বক্তব্য, আগে নেপালি ঘাটে কোন জেটি না থাকার ফলে কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হত। ফলে মাঝে মধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে যেত। এখন সেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। জেটি তৈরী প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর র‍হমান জানান জেটিটি তৈরি হওয়ায় প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। ওপারে জেটি নির্মাণ হলে তখন ভেসেল পরিষেবা চালু করার কথা পরিকল্পনায় রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version