State Budget 2024 West Bengal: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেট, তাই প্রত্যাশাও ছিলই আমজনতার মধ্যে। বাজেটে কোনও চমক আসতে পারে এমনটা আশাও করা হয়েছিল। আর সেই প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত করেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আরও বেশি টাকার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে ৫০০-র পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে কন্যাশ্রীর ভাতাও বাড়ান হয় এদিনে বাজেটে। রাজ্য সরকারের এই কন্যাশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয় বহু ছাত্রী। প্রসঙ্গত, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের পঠন পাঠনের খরচ সামলাতে বছরে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। ১৮ বছরের পরেও যদি তারা অবিবাহিত থাকেন, তাহলে এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১২০০ টাকা।

এদিকে কেন্দ্র রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলে বারেবারেই অভিযোগ করে চলেছে রাজ্য সরকার। যাঁদের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাঁদের টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলেও কয়েকদিন আগে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পরিবর্তে রাজ্যের ৫০ দিনের কাজ ঘোষণা করা হল বাজেট ভাষণে। সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কর্মশ্রী। এর ফলে রাজ্যের প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করছে সরকার।

সামনেই লোকসভা ভোট। তাই সেই দিক থেকে খুব স্বভাবিকভাবেই এবারের রাজ্য বাজেটের দিকে বিশেষ নজর ছিল বঙ্গবাসীর। কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, ভোটের আগের বাজেটে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চমক দেওয়ার রীতি এই দেশে নতুন কিছু নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনমুখী প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্প, তেমনই রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী, মেধাশ্রী, যোগ্যশ্রীর মতো স্কিমও। এছাড়াও বিভিন্ন সময় চালু করা করা হয়েছে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পও। তাই এবারে বাজেট নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version