এদিন লকেট লট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজয়রথ শুরু করেছে ২০১৯-এ, এবং এই রথ এখন চলতে থাকবে, হুগলি ভারতীয় জনতা পার্টির হাতে থাকবে।’ এর প্রেক্ষিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় কি আবার প্রার্থী হবেন হুগলিতে? উত্তরে লকেট বলেন, ‘নিশ্চয়, আমার তো মনে হয়। হুগলি থেকে ২০১৯-এ আমরা ৮০ হাজার ভোটের কাছাকাছি জিতেছিলাম, এবং দ্বিতীয়বারের জন্য হুগলি থেকে নিশ্চয় লড়ব।’
একইসঙ্গে গতকালের পোস্টারের বিষয়ে লকেটে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে জুজু দেখছে। কোনও সময় তারা বিজেপির নাম করে শ্রীরামপুরে পোস্টার দিচ্ছে। কখনও দেখবেন আরামবাগে দিচ্ছে। এরপর দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় পড়বে। কখনও দেখবেন ডায়মন্ডহারবারে পড়বে। আমি একটা কথাই বলব ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্য লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে কী হবে জানি না। হুগলিতে আমি গত লোকসভায় জিতেছিলাম। এবারও হুগলি জিতব।’ তবে এই প্রসঙ্গে লকেট একথাও বলেন, ‘সবটাই আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড ঠিক করে। আমরা যাঁরা সাংসদ হয়েছিলাম, তাঁরা দ্বিতীয়বারের জন্য আবার সংসদে পৌঁছব। নতুন জায়গা থেকেও সাংসদরা জিতে পৌঁছবেন।’
যদিও গত বিধানসভা ভোটেও হুগলি-চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই ভোটে অবশ্য পরাজিত হন তিনি। গত বিধানসভা,পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে হুগলিতে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘২০২১ সালের ভোটের পর থেকে ২০২৪ সালের পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। শিক্ষা,পুরসভা, রেশন ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। গরিব মানুষের টাকা লুঠ হয়েছে।’ তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না বলেই মনে করেন লকেট।
এদিন হুগলি-চুঁচুড়া বিধানসভার বিধায়ক অসিত মজুমদারকেও কটাক্ষ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন অসিত মজুমদার প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘যিনি বৃদ্ধদের সম্মান করেন না, তাঁর সম্বন্ধে একটা কথাও খরচা করতে চাই না। যে ধরণের দুর্নীতি চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় হয়েছে সব বেরিয়ে আসবে, ইডি সিবিআই ও খুব শীঘ্রই আসবে।’