ঘরে ও বাইরে যাতে মহিলারা সমানভাবে কাজ করে যেতে পারে সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তিনি। তবে কি এবার মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্যও নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত? ‘বর্তমান’এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রস্তাবটি নবান্নে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী আধিকারিকরা।
কিন্তু, কেন এই প্রস্তাব?
সূত্রের খবর, মহিলা যে সমস্ত সিভিক পুলিশরা রয়েছেন তাঁরা আজ থেকে বছর দশেক আগে চাকরি পেয়েছেন। কাজে যখন তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় অধিকাংশই অবিবাহিত ছিলেন। ফলে তখন বাপের বাড়ির কাছে তাঁরা কাজে যোগ দেন। কিন্তু, পরবর্তীতে বিয়ের পর অনেকে দূরে চলে যেতে বাধ্য হন। সেই সময় কেউ কেউ চাকরিও ছেড়ে দেন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, এরপরেই মহিলা সিভিকদের বদলির বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বিষয়টি নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিস স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফে রাজ্য পুলিশ ডিরেক্টরেটে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এর উপর ভিত্তি করেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই বদলির নিয়মটি চালু করার জন্য একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
যে খসড়া তৈরি হয়েছে তা মোতাবেক, এক্ষেত্রে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে তাঁর বর্তমান কাজের জায়গা দিয়ে আবেদন করতে হবে। সেখানে উল্লেখ করতে হবে কোন জেলায় তিনি বিয়ে করেছেন এবং তার প্রমাণও দিতে হবে।
সেখানে কর্মরত আধিকারিকের কাছে করতে হবে আবেদন। জেলা কর্তারা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এরপর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই তাঁরা নতুন কাজে যোগদান করতে পারবেন। এখন দেখার এই প্রস্তাবে কি আদৌ সম্মতি দেবে নবান্ন?
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, রাজ্য়ের সিভিক ভলান্টিরদের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি রয়েছেন মহিলা।