নয়া রাস্তার উদ্যোগ
অন্যদিকে শহরের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় নতুন রাস্তা তৈরির বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুরনিগম। বিভিন্ন দফতরের সহায়তায় রাস্তা চওড়া থেকে শুরু করে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি বর্ধমান রোডে রাস্তার দুই দিকেই সম্প্রসারণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে এই কাজ করা হচ্ছে। এই রাস্তা চওড়া হয়ে গেলে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যেতে যাতায়ত এর সময় অনেকটাই কমে যাবে।
তৈরি হবে ৪ লেনের রাস্তা
অন্যদিকে শিলিগুড়ি গুরুং বস্তি-প্রধাননগরেও চার লেনের রাস্তা হবে বলেই জানিয়েছেন পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। সেখানে দখল হয়ে থাকা রাস্তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। চার লেনের রাস্তা হয়ে গেলে সেখান থেকে সিকিমের গাড়িগুলিও যেতে পারবে। পাশাপাশি সেবক রোড ও হিলকার্ট রোডকে জুড়তেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মহানন্দা নদীর মাঝে আরও একটি সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষাও করা হয়ে গিয়েছে। এই সেতু ও সংযোগকারী রাস্তার কাজ হয়ে গেলে এবং সেবক রোড-হিলকার্ট রোডের মধ্যে সংযোগ হয়ে গেলে শহরের যানজট অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কী বলছেন মেয়র?
এই প্রসঙ্গ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘শিলিগুড়ির যানজট কমাতে শহরে বেশকিছু রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সহযোগীতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই শহরে নতুন রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে যানজট কমে যাবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা তৈরির কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তায় জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শহরের পথঘাটের বিষয়েও। নতুন রাস্তা তৈরির পাশাপাশি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও চলছে বিভিন্ন জায়গায়। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের প্রধান শহর শিলিগুড়ির রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্যও বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যেহেতু শিলিগুড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর, তাই দিনের ব্যস্ত সময়ে যথেষ্ট ভিড় ও যানজটের সৃষ্টি হয় বিভিন্ন রাস্তায়। তাই সেই যানজট কাটাতেই নতুন রাস্তা তৈরির এই ভাবনা।