শনিতে দেবের সঙ্গে মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। রবিতেই ঘাটাল রাজনীতিতে আমূল বদল। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে শংকর দলুইকে ছেঁটে ফেলা হল। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল রাধাকান্ত মাইতিকে। জেলা তৃণমূল স্তরের এই রদবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই তিনটি সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। এরপর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। লোকসভা নির্বাচনে কি তিনি লড়াই করবেন আদৌ? এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই একটি অডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেবের বিরুদ্ধে কমিশন চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। (অডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) ওই অডিয়োতে কণ্ঠস্বরটি শংকর দলুইয়ের বলে দাবি করছিলেন অনেকেই। যদিও প্রাক্তন এই বিধায়ক জানান, অডিয়োটির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শংকর দলুই বলেন, ‘আমি রাধাকান্তবাবুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নিশ্চই দল ভালোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার সঙ্গে দলের কোনও কথা হয়নি। যা ভালো ভেবেছে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ দেব প্রার্থী হলে কি লোকসভা নির্বাচনে কি তিনি প্রচার করবেন? এই প্রসঙ্গে শংকর দলুই বলেন, ‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। যে দায়িত্ব দল দেবে তা পালন করব।’

Dev Ghatal : ‘অভিনেতার ভক্ত, রাজনীতির গর্ব’, দেবকে নিয়ে ভোলবদল শংকর দোলুইয়ের

প্রসঙ্গত, দেব এবং শংকর দলুইয়ের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। আর সেই ছাইচাপা আগুনে রীতিমতো ঘি ঢালার কাজ করেছিল এই অডিয়ো ক্লিপ। এরই মধ্যে দেবের একাধিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। আর লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে যখন বিস্তর আলোচনা চলছিল সেই সময় শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। এরপর তিনি সেখান থেকে বার হয়ে সোজা কালীঘাটে যান। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্য করেন। বলেন, ‘আমি রাজনীতি ছেড়ে দিলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না।’এরপরেই মনে করা হচ্ছিল, দেবের রাজনীতি ছাড়া নিয়ে যে আলোচনা চলছিল তা হয়তো ঠেকানো গিয়েছে।

জল্পনা উস্কে ৩ সরকারি কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দেবের

ঘাটাল লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করে কিনা দল, তা এখন সময় বলবে। তবে দলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত বার্তাবহ বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version