সরস্বতী ঠাকুর নিয়ে আর সন্দেশখালি পৌঁছতে পারলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবশেষে টাকিতে ইছামতীর তীরে হল পুজো। বাগদেবীর প্রতিমা বসিয়ে নিজেই পুজোয় সারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে চলে পুজো। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতা কর্মী সমর্থকেরা।

গতকাল টাকিরই একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই হোটেল পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। সকাল থেকেই সেখানে দেথা যায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে হোটেলের একটি অন্য রাস্তা গিয়ে বাইরে বেরোন সকান্ত মজুমদার ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সঙ্গে ছিল বাগদেবীর প্রতিমা। কিন্তু হোটেল থেকে বেরোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সুকান্তরা। এরপরেই টাকিতে ইছামতীর ধারে মূর্তি বসিয়ে শুরু হয় পুজো। একমসয় সুকান্ত মজুমদারকে অভিযোগ করে বলতে শোনা যায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে এভাবেই পুজো করতে হবে।’

পুজোর পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফাল্গুনী পাঠক সরস্বতীর বড় মূর্তি নিয়ে বেরোচ্ছিলেন, পুলিশ ধস্তাধস্তি করে সেই মূর্তির হাত ভেঙে দেয়। বাংলার পুলিশের এখন এটা কাজ হয়েছে। আগে জানতাম বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় জামাত সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠন বা ওই মানসিকতার লোকেরা মায়ের মূর্তি ভাঙত। এখন দেখতে পাচ্ছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পুলিশ মায়ের মূর্তি ভাঙার কাজে হাত দিয়েছে। এই মায়ের মূর্তি ভাঙা আমরা কোনওভাবে মাফ করব না, বাংলার মানুষ কোওভাবে মাফ করবে না। এই ধরণের ঘটার জন্য পুলিশকে ধিক্কার জানাই।’

আজ সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। প্রথমে জানা যায় সন্দেশখালিতে গিয়ে সরস্বতী পুজো করবেন সুকান্ত। আর যদি পথে কোথাও বাধার সম্মুখীন হন, তাহলে সেখানেই হবে বাগদেবীর আরাধনা। সেই মতো বুধবার সকালে মূর্তি সহ পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রতিমা নিয়ে হোটেলের অন্য পথ দিয়ে বাইরে বের হওয়ার পরেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকদের।

বিস্তারিত আসছে…



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version