বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পার্কিং নিয়ে চলছে অচলাবস্থা। যে ব্যক্তি এই পার্কিং-এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি বকেয়া টাকা শোধ করছেন না বলে অভিযোগ। এই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালের পার্কিং। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং থানায় এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর। ফলে দুর্ভোগে রোগীর পরিজনেরা। যত্রতত্র যানবাহন রেখে যেতে হচ্ছে রোগীর কাছে। এক প্রকার হাসপাতালেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান হাসপাতালের বহির্বিভাগের ঠিক পাশে ক্যান্টিনের লাগোয়া এলাকায় রয়েছে পার্কিং প্লট। এই প্লটের টেন্ডার করা হয় প্রতি মাসে ৮৩০০১ টাকা মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে। শেখ জাভেদ নামে এক ব্যক্তি টেন্ডার নিয়ে এই পার্কিং চালাছিলেন। অভিযোগ, কোভিড পর্বের সময় থেকে মাসিক চুক্তি টাকা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। মোটা অঙ্কের বকেয়া হয়ে যায়। পরবর্তীকালে, কোভিড পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বকেয়া কিছুটা মুকুব করে দেওয়া হয়। তারপর এখনও বকেয়া রয়ে গেছে অনেকটাই। চলতি মাস পর্যন্ত প্রায় ৮ মাসের বকেয়া রয়ে গেছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

হাসপাতালের দাবি, বিপুল টাকা বকেয়া থাকা নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বারবার আলোচনা হয়। বকেয়া মেটাতে চিঠিও করা হয়। কয়েকবার কিছু কিছু টাকা শোধ করলেও এখনও অনেক টাকা বাকি। তাই এই পার্কিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি বর্ধমান থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। পাশাপাশি, হাসপাতালের মধ্যে থাকা পে এন্ড ইউজ টয়লেটের টাকাও ঠিকঠাক জমা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

West Bengal Health Department : হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ঠেকাতে বড় পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের, চালু গ্রিন করিডর সিস্টেম
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে দাবি, খুব দ্রুত পার্কিং প্লটের জন্য অনলাইন টেন্ডার করা হবে। হাসপাতালের পার্কিং প্লটের মধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হয়েছে। ফলে পার্কিং প্লটের জায়গা সংকুলান হয়েছে। এই কারণে পুর্ত দপ্তরকে নতুন করে হাসপাতালের মধ্যে পার্কিং প্লটের নকসা করতে বলা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘পার্কিং প্লট, টয়লেট নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত পার্কিং এর মিটবেক। এই হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি উইং অনাময় হাসপাতালেও নতুন পার্কিং, টয়লেট এবং ক্যান্টিন নিয়ে চিন্তাভাবনাও চলছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version