সরকারি সূত্রে খবর, শহরের কোন কোন রুটে ট্রাম ফের চালানো যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। সেখানে খিদিরপুর-ধর্মতলা, শিয়ালদহ-বিবাদী বাগ এবং গ্যালিফ স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেড রুটে ট্রাম ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য কলকাতা পুলিশকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শহরের বন্ধ হওয়া কোন রুটে ট্রাম চললে পুলিশের সমস্যা হবে না? হলে তা জানানো হোক।
বর্তমানে শহরে বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা এবং ধর্মতলা-শ্যামবাজার ট্রাম চলাচল করছে। এর বাইরেও ট্রামকে আরও জনপ্রিয় করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীদের মতামত নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ট্রামকে তাঁরা কীভাবে দেখতে চান, কী পরিবর্তন প্রয়োজন—সেই প্রশ্নই মূলত করা হবে যাত্রীদের। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সোমবার রাতে বলেন, ‘খিদিরপুর-ধর্মতলা রুটে খুব তাড়াতাড়ি ট্রাম চলবে। সে কথা আমরা হাইকোর্টে জানিয়েছি। বাকি রুটের ক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।’
শহরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রাম রুট ফেরানোর জন্য হাইকোর্ট দায়ের হওয়া মামলার আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি বলেন, ‘কলকাতা শহরে বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটে ট্রাম চালানোর পক্ষে আদালতও সওয়াল করেছে। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে আদালত। আশা রাখব, খুব শীঘ্রই বন্ধ রুটে ট্রাম ফিরবে।’ ‘শহরে এমন অনেক রুট রয়েছে যেখানে ট্রাম চলাচল করলে পরিবহণ দপ্তরের আয় বাড়বে। শহরের দূষণও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে’—বক্তব্য ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্যের।
