মেট্রোর কাজের জন্য অবশেষে চিংড়িহাটা ক্রসিংয়ে ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি পেল কর্তৃপক্ষ। বুধবার মেট্রোর তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিষয়টি জানান হয়েছে। চিংড়িঘাটা ক্রসিং-এ ৩১৯ নম্বর পিয়ার নির্মাণের জন্য ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি গৃহীত হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথে ৩১৯ নম্বর পিয়ার নির্মাণের জন্য চিংরিঘাটা ক্রসিং-এ ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের তরফে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এর আগে ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের একটি ট্রায়াল চালান হয়। তরাপর সমস্ত প্যারামিটার বিবেচনা করে, এই পিয়ার নির্মাণের জন্য ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭৫ দিনের জন্য দেওয়া হয়েছে এই অনুমতি। মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি মেট্রো রেলওয়ে RVNL-এর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের এই পিয়ারের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ RVNL চিংরিহাটা ক্রসিং-এ এই কাজটি সম্পাদন করার সময় সমস্ত সম্ভাব্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অনুমতির ফলে প্রকল্প সম্পাদন হতে বিলম্বিত হওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা কেটে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে যেহেতু চিংড়িহাটা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়দগা, সেহেতু এই ট্রাফিক ব্লকের সময়কালে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এই রুটটি হল কলকাতা মেট্রোর কমলা লাইন। প্রায় ৩২ কলোমিটার বিস্তৃত এই লাইন কলকাতার দুই প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ রক্ষাকারী একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো লাইন হতে চলেছে। আর এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে ভিআইপি বাজার, মেট্রো পলিটন, এবং চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে জমিজট সংক্রান্ত সমস্যায়ও দেখা দিয়েছিল। এমনকী নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশনের কাজের জন্য KMDA-এর কাছ থেকে ২,৭৯১ বর্গমিটার জায়গা নতুন করে নিতে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। সেই অরেঞ্জ লাইনের কাজই এবার পৌঁছে গিয়েছে চিংড়িহাটায়। সেখানে নির্মাণের জন্য ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি পাওয়ার জন্য এই প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কলকাতায় একসঙ্গে একাধিক রুটে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সেই প্রকল্পগুলি সম্পাদনের চেষ্টা চালান হচ্ছে। এর ফলে আগামীদিনে শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী একাধিক জেলার মানুষের যাতায়াতে আরও অনেক বেশি সুবিধা হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version