বিধায়ক সুদীপ রায় জানান, ESI হাসপাতালে আরও উন্নত পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর জন্য আধুনিক সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রীরামপুর ESI হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ করার মতো জায়গা রয়েছে। যাতে সেখানে মেডিক্যাল কলেজ করা যায় সেই প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
মলয় ঘটক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সারা রাজ্যে যতগুলি ESI হাসপাতাল রয়েছে তাদের উন্নয়ন হয়েছে। আইসিইউ-এইচডিইউ থেকে আধুনিক ওটি হয়েছে। বেশ কিছু হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় ক্যাথল্যাব করার প্রস্তাবও দিয়েছি। বিগত দুই বছর কেন্দ্র সরকার থেকে কোনও পুরস্কার ঘোষণা হয়নি। তার আগে সাত বছর গোটা দেশে সবথেকে ভালো ESI পরিষেবা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুরস্কৃত হয়েছে। কখনও ২৫ কোটি আবার কখনও ৪০ কোটি-৫০ কোটি টাকা করে আমরা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজ করার জন্য চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ESI-এর একটি রিজিওনাল বোর্ড রয়েছে। সেখানে এই আবেদন করা হয়।’
উল্লেখ্য, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের পাশে ESI হাসপাতালের অব্যাহত অনেকটা জমি রয়েছে। অনেক কোয়ার্টার পরিত্যক্ত রয়েছে। সেই জায়গায় পরিকাঠামো উন্নত করে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবি এলাকাবাসী বহুদিন ধরে করে আসছেন। এবার কি সেই দাবির প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হতে পারে? আশার এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উন্নতির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে তৃণমূল স্তরের মানুষজনের কাছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কারণে স্বাস্থ্য সাথী-র মতো প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। স্বাস্থ্যসাথীর পাশাপাশি রাজ্যের হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও যাতে উন্নতি করা যায় সেই জন্য প্রভূত পদক্ষেপ করেছেন তিনি।