এমনকি, হুগলি থেকে সরিয়ে তাঁকে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা নিয়েও একটি জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগেই শ্রীরামপুর কেন্দ্রেও তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যদিও, এর কয়েকদিন বাদে লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজেই জানিয়ে দেন, ‘হুগলি থেকে আমি নিশ্চয়ই লড়ব।’ লকেটের কথাতেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে হুগলি জেলা থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেইবার এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জয়ী হন লকেট। যদিও, গত বিধানসভা নির্বাচনে ফের লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হয়। চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে তাঁকে বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তবে বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী অসিত মজুমদারের কাছে ১৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন লকেট। এবার ফের হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম এল লকেট চট্টোপাধ্যায়-এর।
লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই পাঁচ বছর এলাকায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি। উনি তো হুগলি ছেড়ে উত্তরাখণ্ড চলে গিয়েছিলেন দলের প্রচার করতে। মানুষের সুখ দুঃখের পাশে উনি ছিলেন না। করোনা বা আমফানের সময় ওঁকে কেউ পায়নি। উনি শুধুমাত্র দলীয় কাজকর্ম করেছেন।’ তৃণমূলের কথায়, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে ডিজেল, পেট্রল, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যেভাবে দাম বেড়েছে মানুষ আর বিজেপির সঙ্গে নেই। লকেট চট্টোপাধ্যায় এবার আর এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হবেন না বলেই দাবি তৃণমূলের।