আবার সভার মাঝেও একই ছবি দেখা যায়। উপস্থিত জনতার একটা অংশ সভা চলাকালীনও সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ। সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ফের বলতে দেখা যায়, ‘আপনাদের আবেগ আমি মাথায় করে রাখি, আপনাদের ভালোবাসও আমি মাথায় করে রাখি। এই ভালোবাসা কখনও ভুলবো না। এমন ভালোবাসা সবার ভাগ্যে থাকে না। কিন্তু সবার কাছে অনুরোধ, বিশেষত যুবদের, সামনে জায়গা নেই, অনুগ্রহ করে সামনে এগোবেন না।’
সেখানেই শেষ নয়, সভার শেষেও একই ভাবে সভাস্থল ছোট পড়ে যাওয়ার জন্য ফের একবার ক্ষমা চেয়ে নেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘ছোট জায়গার জন্য আপনাদের যে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে, আমি আপনাদের সেবক, আর সেই সেবক হিসেবে আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
অন্যদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষ এটা বুঝে নিন যে, মোদীর গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি। কিছুদিন আগেই কল্যাণী এইমস আমরা মানুষকে উৎসর্গ করেছি। ১০০০ সজ্জার এই হসপিটাল রোজগারে সুযোগ আনবে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। ৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৫ বছর এই যোজনা চলবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি।’ একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজ ২২ হাজার কোটির বেশি প্রকল্প আপনাদের দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই প্রকল্পগুলি পশ্চিমবঙ্গে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পোর্ট, পেট্রোলিয়ামের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। এতে যুব সমাজের কর্মসংস্থান হবে, উন্নতি হবে।’