এই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, ‘একজন পুরুষ, সে মদ্যপ হোক বা না হোক, কোনও অচেনা মহিলাকে, সে কোনও পুলিশ কনস্টেবল হোক বা না হোক ডার্লিং সম্বোধন করা আপত্তিকর। ব্যবহৃত শব্দটি মূলত যৌনগন্ধী। ভারতীয় সমাজের মান এখনও পর্যন্ত এমন নয় যে কোনও পুরুষকে অপরিচিত মহিলাদের সম্মানে ডার্লিং-এর মতো শব্দ ব্যবহার করার জন্য আনন্দে অনুমতি দেওয়া যায়।’
সূত্রের খবর, ওই মহিলা পুলিশ কর্মী ও তাঁর অন্য়ান্য সহকর্মীরা ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর আন্দামানের মায়াবুন্দের থানা এলাকায় উৎসবের মরশুমে রাস্তায় ভিড় সামাল দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ জানতে পারে যে একজন ব্যক্তি এলাকায় ঝামেলা সৃষ্টি করছে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলি। পুলিশ গিয়ে সেই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। ঘটনাস্থল কিছুটা অন্ধকার থাকায় ওই ব্যক্তিকে সংলগ্ন একটা দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তখনই ওই ব্যক্তি এক মহিলা কনস্টেবলকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করে। তারপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ওই ব্যক্তিকে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তার উপর যে দু’টি ধারা লাগু করা হয়েছে সেগুলির প্রত্যেকটির জন্য় ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে। এর আগে জনক রামকে ৩ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এরপর সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। তবে সেখানেই রেহাই পেল না অভিযুক্ত।