সামনেই লোকসভা নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিজেপি প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণা করলেও এখনও তৃণমূল বা কংগ্রেস বা বামেরা কেউ প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এরই মাঝে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের জয় নিয়ে বড় মন্তব্য তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।বাঁকুড়ায় দাঁড়িয়ে সায়ন্তিকা বলেন, যে দাঁড়াবে সেই জিতবে। যদি বটগাছও প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, যদি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বটগাছ প্রতীক পায়, তাহলে বটগাছও জিতবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে বাংলার মানুষের পাশে, বিশেষত জঙ্গলমহলের পাশে ছিলেন আছেন এবং থাকবেন সেটা অন্যকেই পাবে না। আর সেটা প্রমানিতও হয়ে গিয়েছে।’ একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সায়ন্তিকার বার্তা, বিজেপির সাংসদরা যখন আবার ভোট চাইতে আসবেন তখন তাঁদের কাছে ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন নিয়ে জানতে চাইবেন। সায়ন্তিকার কটাক্ষ, ‘২৫ কোটি টাকার ল্যাম্পপোস্টও যদি দেখতাম, তাহলেও মেনে নিতাম যে তাঁরা উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু ওঁদের সেই মানসিকতাটাই নেই।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রথম দফায় সারা দেশে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেখানে বাঁকুড়া জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। বাঁকুড়া আসনে ফের একবার প্রার্থী করা হয়েছে সুভাষ সরকারকে। আর বিষ্ণুপুর আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে। আর নাম ঘোষণার পর থেকেই জনসংযোগের কাজে নেমে পড়েছেন দুই প্রার্থী।

এদিকে সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের উদ্দেশে সাংসদ তহবিলের টাকার হিসেব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূলের নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ বছরে সাংসদ তহবিলের মাত্র ১০ কোটি টাকা খরচ করেছেন সৌমিত্র খাঁ। আর বাকি ১৫ কোটি টাকা খরচ করতে পারেননি। একইসঙ্গে ওই ১০ কোটি টাকা কোথায় খরচ হয়েছে সেই হিসেবও চান তিনি। পালটা সৌমিত্র খাঁ অবশ্য সুজাতার এই দাবি পুরোপুরি খণ্ডন করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি ২০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কে কী বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে এই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রেও প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সুভাষ সরকার। তুলে ধরেছেন উন্নয়নের খতিয়ান। এমনকী এইবারের ভোটে পৌনে ৪ লাখের ব্যবধানে তিনি জিতবেন বলেও দাবি করেছেন সুভাষ সরকার। এবার দেখার সুভাষ ও সৌমিত্রর বিপক্ষে কাদের টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version