গুজরাটের মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ছয় ভাইবোনের পরিবার। ছোটবেলায় বাবার চায়ের দোকানে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করতেন। সেই নরেন্দ্র মোদীই একদিন ইতিহাস লিখবেন, তা কে জানত! অনেক ছোট বেলাতেই তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন। সঙ্গে একটি ঝোলা ছাড়া কিছু নেননি বলে দাবি স্বয়ং মোদীর। সেই সময় কী ভাবে জীবনধারণ করেছিলেন? বারাসতের সভা থেকে এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এদিন সাধারণ মানুষকে নিজের পরিবার বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। এদিন মোদী বলেন, ‘আজ সমস্ত মা বোনেরা বলছেন আমি মোদীর পরিবার। আমি জীবনের একটি অধ্যায় যা সচরাচর বলি না তা বলতে চাই। কিছু মানুষ মনে করেন কেউ আমাকে কটু কথা বলেছে বলে এদের পরিবার বলছি। কিন্তু, আজ সত্যি কথা বলতে চাই। অনেক ছোটবেলায় আমি একটা ঝোলা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিব্রাজকের মতো দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কিছু খুঁজছিলাম। আমার পকেটে কখনও এক পয়সাও থাকত না, কিছু খুঁজছিলাম। আমার পকেটে কখনও এক পয়সাও থাকত না। কিন্তু, আপনাদের গর্ব হবে, পকেটে পয়সা ছিল না, ভাষা জানতাম না, কিন্তু কোনও না কোনও পরিবার আমাকে খাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করত। বছরের পর বছর আমি পরিব্রাজক ছিলাম। কিন্তু, একটা দিনও আমি খালি পেটে ছিলাম না। তাই আমি বলি এটাই আমার পরিবার। সমস্ত ভারতবাসী আমার পরিবার। যখন আমার কোনও পরিচিতি ছিল না, সেই সময় দেশের গরিব পরিবার আমার চিন্তা করেছে। তাই আমি আজ যখন গরিবদের জন্য, মা-বোনেদের জন্য কিছু করতে চাই তার কারণ দেশ যে আমার পরিবার তা আমি বুঝতে পেরেছি। সেই ঋণই আজ শোধ করছি।’

Modi Barasat Rally Live : সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলায় উঠবে : মোদী

এদিন মোদীর বক্তব্যের অধিকাংশজুড়েই ছিল সন্দেশখালি তথা বাংলার মা বোনেদের কথা। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, বাংলার নারী শক্তিদের মন পেতে মরীয়া মোদী। বঙ্গে প্রচার পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোদীর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে বাংলার মা-বোনেদের কথা। মোদীর এই বার্তা এবং ব্যক্তিগত জীবনের অধ্যায় খোলা মঞ্চ থেকে বলা অনেকটাই আন্তরিকতার বার্তা, মত গেরুয়া শিবিরের একাংশ। এদিন সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের প্রসঙ্গও শোনা যায় মোদীর কণ্ঠে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version