তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, ‘মোদী কা পরিবার’-এর সদস্যপদ একচেটিয়াভাবে অপরাধী, ধর্ষক এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের জন্যই সংরক্ষিত। কারণ, বিজেপির সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাংসদ/বিধায়ক আছে, যাদের নামে অপরাধের মামলা রয়েছে। বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিং মহিলা কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির আইটি সেলের সদস্যরা,আইআইটি-বিএইচইউ-এর একাধিক ছাত্রছাত্রীদের ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত। এই বিষয়ে কেন কোনও জবাব দিলেন না মোদী? প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘কেন প্রতি ঘণ্টায় ৫১টি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটছে সারা দেশে?কেন বিজেপির লোকসভায় 13% মহিলা, 195 প্রার্থী তালিকায় কেন মাত্র 14% মহিলা? কেন কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানির অভিযোগে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?’ এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, প্রশ্ন তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, মূলত বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগেই বারাসাতে এদিন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা থেকে নারীদের জন্য কল্যাণমূলক কথা উঠে আসে। পাশাপাশি, বর্তমান শাসক দল মহিলা বিরোধী, এমন অভিযোগও করে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বর্তমান শাসক দলের আমলে রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়ন হয়নি, অন্যদিকে, বিজেপি সরকার সারা দেশে প্রায় ৩ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন মোদী।