তিনি রাজনীতিতে আনকোরা নন। কিন্তু, প্রচারর আলো থেকে অনেক অনেক দূরে ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে BJP-র বোলপুরের প্রার্থী পিয়া সাহা। প্রথম দফায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানেই ছিল পিয়ার নাম। এর আগে দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেও পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে।বোলপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করার পরেই লাইমলাইটে পিয়া। কী ভাবে প্রার্থী হিসেবে তাঁকে নির্বাচিত করা হল? এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন BJP-র এই তরুণ মুখ। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে আমার থেকে বায়োডেটা চাওয়া হয়। সেই সময় বুঝেছিলাম কিছু একটা হয়তো ঘটতে চলেছে। প্রার্থী করার আগে বায়োডেটা চাওয়া হয়। আমি কোনওদিন নিজের নাম সুপারিশ করিনি। এরপরেই যা ঘটে সকলেরই তা জানা।’

পিয়া আরও বলেন, ‘আমি আপাতত মাস দুই সংসার জীবন থেকে বেরিয়ে পুরোপুরি রাজনীতির ময়দানে রয়েছি।’ দল বদলের রাজনীতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বোলপুরের এই BJP প্রার্থী বলেন, ‘আমি অন্য কোনও দলে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। মোদীজির আদর্শে আমি অনুপ্রাণিত। এই দল না হলে অন্য কোনও দলে যোগদান করব না।’

এদিকে স্ত্রী যখন প্রচার ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বামী মন্টু চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমিও BJP-র কর্মী। প্রথম প্রথম যখন রাজনীতি করতে আসি সেই সময় পারিবারিক অমত ছিল। কারণ এর আগে পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। কিন্তু, বিজেপির মতাদর্শ তাঁদের মনেও জায়গা করে নিয়েছে। তাই স্ত্রী বা আমার পরিবারের কারও তরফে আপত্তি আসেনি।’

প্রথম দিকে স্ত্রী পিয়াকে রাজনীতির ময়দানে বিস্তর সাহায্য করেছেন বলে দাবি করেন মন্টু চৌধুরী। তবে আপাতত স্ত্রী ‘একাই একশ’ বলে দাবি করেছেন এই নেতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে স্ত্রী যখন ব্যস্ত সেই সময় সমস্ত রকমভাবে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন তিনি।

Priya Saha BJP : সংস্কৃতে অনার্স, বিধানসভা ভোটে ২ বার হার, অনুব্রত গড়ে BJP-র প্রার্থী কে এই পিয়া?

এদিকে পিয়াকে প্রার্থী করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। যদিও হাল ছাড়তে রাজি নন পিয়া। তাঁর কথায়, ‘২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগদান করি। সেই সময় এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আজকের মতো পরিস্থিতি ছিল না। রণকৌশল এখন থেকেই বলব না। যেখানে গান্ধীগিরির প্রয়োজন হবে সেখানে গান্ধীগিরি, যেখানে নেতাজির আদর্শে চলা হবে সেখানে সেই পথ ধরব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version