কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মাদারিহাট স্টেশনে হাজির হন তিনি। সেখানে মনোজ টিগ্গাকে দেখা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংসদ। গলা সপ্তমে চড়িয়ে মনোজের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন তিনি। বলে ওঠেন, ‘মনোজের তো ১৫টি ডাম্পার আছে, পেট্রল পাম্প আছে, সেগুলো কেউ দেখে না? সে খুব সৎ? আর আমি মানুষের জন্যে কিছুই করিনি? মনোজ প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করলে আমি কিছুতেই প্রচারে নামব না।’
শেষে রাগারাগি করে চলে যান জন। চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার সঙ্গে ছলনা করেছে মনোজ টিগ্গা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় দলের ভরাডুবির পরে আমিই ওকে জেলা সভাপতির পদে বসিয়েছিলাম।’
জন বার্লা মেজাজ হারালেও গোটা ঘটনার পরে মনোজ টিগ্গার প্রতিক্রিয়া, ‘আজ মাদারিহাটের মানুষ যে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপ পেলেন, তার পুরো কৃতিত্বই জন বার্লার। আমি তো দলের কাছে প্রার্থী হওয়ার জন্য তদ্বির করিনি। দলই আমাকে টিকিট দিয়েছে। আর জন আমার বিরুদ্ধে ১৫টি ডাম্পার ও পেট্রল পাম্পের মালিকানার যে অভিযোগ এনেছেন, সেই প্রমাণ দেওয়ার দায় তাঁরই।’
অবশ্য উত্তাপ ছড়িয়েছিল মঙ্গলবারই। মনোজের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জন। মনোজকে ভোট নয় বলে স্লোগানও তোলেন তাঁর অনুগামীরা। এমনকী, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী নিজেই। তার পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বুধবার সকাল সকাল তাঁর বাড়িতে যান রাজ্য বিধানসভার চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা। সঙ্গে ছিলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনও। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কখনও ঘরে, কখনও বাইরে অপেক্ষা করেন তাঁরা, তবে জন বার্লার দেখা মেলেনি। ফিরে যেতে হয় তাঁদের।
এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মনোজের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন জন। খানিক পরে ফের একই কথা তাঁকে বলতে শোনা যায় মাদারিহাট স্টেশনে।এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, ‘বুধবারের ঘটনাতেই স্পষ্ট যে, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে কতটা ব্যাকফুটে রয়েছে বিজেপি। এর বিচার মানুষই করবেন।’