নারী দিবসকে কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল শুরু। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলে হাঁটতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়ও মিছিলে দেখা যাচ্ছে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিলে সন্দেশখালির মহিলারাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কলেজ স্ট্রিট – নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট – ওয়েলিংটন থেকে ডানদিকে ঘুরে – এস এন ব্যানার্জী রোড হয়ে মিছিল পৌঁছবে ডোরিনা ক্রসিং। মিছিল শেষে সেখানে একটি সভারও আয়োজন করা হয়েছে।তৃণমূল ছাড়ার পর বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস রায়। উত্তর কলকাতার অন্যতম দাপুটে এই নেতা সাম্প্রতিককালে মুখ খোলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েক বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর বাড়িতে ইডির হানার নেপথ্যে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এদিন সেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, এর মধ্যে দিয়ে নেত্রী তথা দল যে সুদীপের সঙ্গেই রয়েছে, সেই বার্তাই কার্যত দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাপস রায় উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন, এমন একটা জল্পনা সম্প্রতি রাজনৈতিকমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উত্তর কলকাতায় এই মিছিলের মাধ্যমে তাপসকেও তৃণমূল পালটা বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।


এদিকে সম্প্রতি বারেবারেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। এমনকী বুধবারও সেখানে উত্তেজনার খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে জমি দখল, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দিয়ে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ। পাশাপাশি নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। আর তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোমরবেঁধে ময়দানে নামে বিজেপিও। এমনকী প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যে এসে বারেবারে সন্দেশখালি ইস্যুতে নিশানা করেছেন তৃণমূলকে। সেখানে এদিনের মিছিলে সন্দেশখালির মহিলারও যোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সন্দেশখালির মহিলারা যে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন, তৃণমূল এমনটাই বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মিছিলে রয়েছে আরও চমক। এদিনের মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, সেই কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই জগন্নাথ সরকারকে ফের একবার প্রার্থী করেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে মুকুটমণি প্রার্থী হলে প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবেন এতদিনের সতীর্থ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version