এই সময়, বোলপুর: দইবড়া খেয়ে অসুস্থ খোদ ফুড সেফটি অফিসার-সহ কমপক্ষে ১২০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরে। বোলপুরের সর্বমঙ্গলা নামে জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকানের এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দইবড়ায় বিষক্রিয়া থেকে একদিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রেতাদের সকলে৷কেউ বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, কেউ মহকুমা হাসপাতালে, কেউ বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি। কেউ আবার বাড়িতেই চিকিৎসাধীন৷ এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব মানুষজন৷ বোলপুরে-শান্তিনিকেতন রাস্তার উপরে জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান সর্বমঙ্গলা৷ গত ৫ মার্চ এই দোকান থেকে দইবড়া কিনে খেয়েছিলেন অনেকেই। এরপরেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসতে শুরু করে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই৷

ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট পড়তে তাকে। একদিনে এই দোকানের দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ১২০ জন৷ এমনকী, দইবড়া খেয়ে অসুস্থ খোদ বোলপুরের ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন৷ তিনিও তিন দিন ধরে চিকিৎসাধীন। এ দিন, ক্ষুব্ধ বোলপুরবাসী ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শাটার নামিয়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘমিত্রা ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু হাজরা বলেন, ‘তিনদিন ধরে এত মানুষ অসুস্থ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, তাও মিষ্টির দোকানের মালিকের কোনও হেলদোল নেই৷ তাই আমরা এসেছি আজ৷ এত মানুষের দায় কে নেবে? ফুড সেফটি কোথায় শহরে?
দইবড়ায় ফুড পয়জনের কথা স্বীকার করে নেন মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মণ্ডল।

তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি, সবার কাছে৷ আমাদের ভুলেই এমন ঘটনা ঘটেছে৷ তবে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যারা অসুস্থ তাদের ক্ষতিপূরণ দেব। এর পিছনে প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মীর অন্তর্ঘাত বা ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, বুঝতে পারছি না। তা জানতে সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বোলপুরে দইবড়ায় তীব্র আতঙ্ক, খেয়ে অসুস্থ স্বয়ং ফুড সেফটি অফিসার! দোকানে বিক্ষোভ

বোলপুরের একাধিক খাবারের দোকানদারের দাবি, ‘গুণগত মান বজায় রেখে খাবার বিক্রি করি। কিন্তু দু’বছর ধরে ব্যবসা করলেও কখনও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অভিযান হতে দেখিনি।’ যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘রাস্তার দোকানে মাঝেমাঝেই অভিযান চালানো হয়। দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version