সন্দেশখালিতে বিজেপির সভা নিয়ে কম টানাপড়েন হয়নি। জল গড়িয়েছিল আদালতেও। যদিও শেষ পর্যন্ত সন্দেশখালি নয়, ন্যাজাটে সভার ছাড়পত্র মেলে। এ দিন দুপুরে সেই সভার শুরুতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন সুকান্ত।
এরপর জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘বসিরহাট লোকসভা আসন জিততে হলে আমাদের সন্দেশখালি থেকেই এক লক্ষ ভোটের লিড দিতে হবে। দেবেন তো?’ জনতার একাংশ থেকে সাড়াও পান। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ আগেরবারের রেজ়াল্ট মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
প্রথমবার ভোটে নেমেই এই কেন্দ্র থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন তৃণমূলের নুসরত জাহান। রাজ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বিজেপির সায়ন্তন বসুর সঙ্গে তাঁর ব্যবধান ছিল প্রায় চার লক্ষ ভোটের। এ দিনের সভা থেকে হিসেব বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, ‘দশ বছরে যত অত্যাচার করেছে, সব হিসেব হবে। কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ও তদন্তকারী সংস্থাকে বলব, একা শাহজাহানকে পুরলে হবে না।’ আরও কয়েকজন নেতার নাম করে তাঁদেরও জেলে পোরার হুমকি দেন তিনি। বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এ রকম পঁচিশ-তিরিশটা সন্দেশখালি রয়েছে।’
এরপরেই বলেন, ‘কথা দিলাম, হিঙ্গলগঞ্জ ফাঁকা করব, মিনাখাঁ ফাঁকা করব, হাড়োয়া ফাঁকা করব, গোসাবা ফাঁকা করব, ক্যানিং ফাঁকা করব, ফলতা ফাঁকা করব, ভাঙড় ফাঁকা করব, বসিরহাট গ্রামীণ ফাঁকা করব, বাদুড়িয়ার লিটনকেও ফাঁকা করব। একটাকেও ছাড়ব না।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘ঘটনার পরে দু’মাস তো পার হয়ে গিয়েছে। কেন সন্দেশখালি আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’ সিপিএমকেও কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরাই সন্দেশখালি ইস্যু রাজ্য থেকে দিল্লির দরবারে নিয়ে গিয়েছি। আর কেউ তা করেনি।’
শুভেন্দুকে তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার পাশাপাশি দেশের সব প্রান্তেই যেতে পারছেন। তিনি কেন গত এক বছরে মণিপুরে যেতে পারলেন না? শুভেন্দুর সেই প্রশ্ন তোলা উচিত।’