তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে এখনও বাড়ি ফেরেননি বিষ্ণুপুরের এক যুবক। অনেক খোঁজ খবর নেওয়ার পরেও কোনওরকম সন্ধান না পেয়ে, অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার। প্রিয়জনের খোঁজ না পেয়ে চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছেন পরিবারের লোকজন। মিসিং ডায়েরির ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ লোহার পাড়ার বাসিন্দা বাপি লোহার। পরিবারের দাবি, বাপি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে চলতি মাসের ৯ তারিখ বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে রওনা দেন। বিষ্ণুপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন তাঁরা। এমনকী পরের দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ তৃণমূলের জনগর্জন সভাতে যোগদান করেন বলেও দাবি পরিবারের লোকজনের। পরিবার জানাচ্ছে একাধিকবার তাঁকে ফোন করা হয়েছে, কথাও হয়েছে। জানিয়েছিলেন সভা শেষে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ নেই।

বাপি লোহারের স্ত্রী ঝরনা লোহার জানান, ১০ মার্চ দুপুর সাড়ে তিনটের নাগাদ শেষবারের মতো কথা হয় তাঁর স্বামীর সঙ্গে। সেই সময় বাপি জানিয়েছিলেন, রাতের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন তিনি। সন্ধ্যায় পুনরায় তাঁকে ফোন করা হলে, ফোন রিসিভ করেন বাপি লোহারের এক বন্ধু। তিনি জানান, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে চাপার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাপি। যার জেরে তাঁরা বাপিকে প্ল্যাটফর্মে রেখে জল আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা স্টেশেন ফিরে এসে দেখেন বাপি লোহার আর সেই জায়গায় নেই। বহু খোঁজাখুঁজি করার পরেও তাঁকে না পেয়ে তাঁর বন্ধুরা ফিরে আসেন।

এদিকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাপি লোহারের স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে যান। রাতভর খোঁজাখুঁজি করার পর কাউন্সিলরের পরামর্শ মতো পরের দিন সকালে বিষ্ণুপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে বাপির পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নামে পুলিশ। ইতিমধ্যে বাপির পরিবারও কলকাতায় এসে খোঁজ খবর নেয়। কিন্তু বাপির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এউ পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যকে না পেয়ে কেঁদে ভাসাচ্ছেন বাপির মা, স্ত্রী ও সন্তানরা।

এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সির জানান, তিনি সবসময় পরিবারটির পাশে রয়েছেন এবং তাঁদের খোঁজখবরও নিচ্ছেন। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশেরপ সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নিখোঁজের পরিবারের সদস্যদের একটাই আকুতি, দ্রুত ঘরে ফিরে আসুক ঘরের ছেলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version