সকাল সাতটা, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! শুক্রবার সকালেই এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দেশে প্রথম গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটে চলল মেট্রো। যাত্রী সহযোগে আজ গঙ্গার নীচ দিয়ে প্রথম মেট্রো চলাচল শুরু হল। কলকাতা মেট্রোর নাম উঠল ইতিহাসের পাতায়। উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।হাওড়া ময়দান মেট্রো আজ থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ভোর রাত থেকে বহু সংখ্যায় মানুষ হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন গেটের সামনে ভিড় করে থাকেন। কখন গেট খুলবে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন যাত্রীরা। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করেন ও টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন।

গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর প্রথম টিকিট কেটে যাত্রার সাক্ষী হতে চেয়েছে অপেক্ষায় ছিলেন বহু শহরবাসী। এক স্কুল ছাত্রী জানালেন, প্রায় রাত জেগেই অপেক্ষায় ছিলাম। এখানে এসে টিকিট নিয়ে যাতে প্রথম মেট্রোটা চড়তে পারি, তার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ গঙ্গার নীচ দিয়ে প্রথম এই মেট্রো যাত্রী হয়ে খুবই ভালো লাগছে।

Kolkata Underwater Metro Ride : ‘ভাবতেই পারছি না’ গঙ্গার নীচ দিয়ে প্রথম মেট্রো সফর

শুক্রবার সকালে এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া ময়দান দু’দিক থেকেই মেট্রো ছাড়ে ঠিক সকাল 7 টার সময় ৷ এটাই ছিল প্রথম পরিষেবা। দুদিক থেকেই মেট্রো পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর পরিষেবা নিয়ে খুশি যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সোমবার থেকে শনিবার 12 থেকে 15 মিনিট অন্তর মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে৷ দু’দিক থেকে দিনের শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাট রাত 9.45 মিনিট নাগাদ৷ তবে আপাতত রবিবার এই রুটে কোনও পরিষেবা থাকছে না৷

গ্রিন লাইনের এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান (4.8 কিমি লম্বা), অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অংশ (5.4 কি মি লম্বা) এবং পার্পল লাইনের সম্প্রসারিত অংশ তারাতলা-মাঝেরহাট (1.25 কি মি লম্বা) উদ্বোধন করা হয় গত ৬ মার্চ। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফরে এসে এই মেট্রো প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন।

নদীর নীচে মেট্রোই ‘ভোট ম্যাগনেট’! বাংলার ৬ কেন্দ্রে সুবিধা বিজেপির?
তবে বাকি রুটগুলির থেকেও গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া থেকে ধর্মতলা রুটের প্রতি মানুষের উৎসাহ ছিল সবথেকে বেশি। নদীর নীচ দিয়ে কী ভাবে এই মেট্রো চলাচল করছে, সেই অনুভূতির স্বাদ নিতেই প্রচুর যাত্রীরা আজ এই মেট্রোয় যাতায়াত করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version