এই সময়, ভূপতিনগর: রীতিমতো তাড়া করে তেলের ট্যাঙ্কার আটকেছিল পুলিশ। সেই ট্যাঙ্কার খুলতেই তেল নয়, বের হলো গোরু! তাও আবার ১০ খানা। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুষ্পা সিনেমার মতো পাচারের নিত্যনতুন কৌশল চিন্তা বাড়াচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের।কয়েক মাস আগে নৌকায় করে নদীপথে ওডিশা থেকে গোরু পাচারের সময় মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ ১০টি গরু উদ্ধার করেছিল।আর এবার তেল ট্যাঙ্কারের পিছনের অংশ কেটে গোরু পাচারের লরি বানিয়ে ফেলেছিল পাচারকারীরা। গোরুগুলিকে এই কাটা অংশ দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে লরির ডালা তোলার মতো ওই কাটা অংশ লাগিয়ে দিলে বাইরে থেকে কিচ্ছুটি বোঝার উপায় নেই।

দেখলে মনে হবে যেন, তেল ভর্তি ট্যাঙ্কার যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। তবে গোরুগুলির যাতে নিশ্বাস নিতে অসুবিধে না হয়, তার জন্যে ট্যাঙ্কারের উপর তেল ভরার অংশে জাল লাগিয়ে দেয় পাচারকারীরা। উপরে উঠে না দেখলে বোঝার উপায় নেই ট্যাঙ্কারের ভিতরে তেল নেই, গোরু আছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ইন্ডিয়ান অয়েল লেখা একটি তেল ট্যাঙ্কার ওডিশা থেকে ইটাবেড়িয়া-হেঁড়িয়া সড়ক ধরে হেঁড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। ইটাবেড়িয়ার কাছে তেল ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে শব্দ শুনতে পেয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। কারণ তেল থাকলে, এত দুমদাম আওয়াজ হওয়ার কথা নয়। ভূপতিনগর থানায় সে খবর পৌঁছলে পুলিশ ট্যাঙ্কারটিকে আটকানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু চালক না থেমে ট্যাঙ্কারটিকে জোর করে হেঁড়িয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ পিছনে তাড়া করে কিছুক্ষণের মধ্যে ট্যাঙ্কারটিকে আটক করে। ভিতর থেকে আসা শব্দের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে গোরু পাচারের এমন অভিনব কায়দা দেখে পুলিশকর্মীরা অবাক হয়ে যান।

ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার করা ১০টি গোরু ভূপতিনগর থানার পাশের ফাঁকা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ওডিশা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মূলত গাঁজা পাচার করা হয়। বেঙ্গল পুলিশ ও ওডিশা পুলিশ দিঘা সীমানায় কড়া নজরদারি চালানোয় পাচারকারীরা গ্রামের রাস্তা বেছে নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘ওডিশা থেকে গোরুগুলিকে পাচারের জন্যে ট্যাঙ্কারে ভরে আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ট্যাঙ্কারের ভিতরে গোরু পাচার একেবারে অভিনব। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা গোরুগুলিকে পাচারের জন্যে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version