পরে অসুস্থদের সংখ্যা ধীরে বাড়তে থাকলে তা থানাকে জানানো হয়। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে অসুস্থদের নিয়ে আসা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আজ বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিএমওএইচ হিমাদ্রী আড়ি সহ অন্যান্যরা।
এদিন রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে হাসপাতালের সুপারের প্রতি কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে দেন বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সুপারের হাসপাতালে থাকা উচিত ছিল।’ যদিও সঙ্গে সঙ্গে সিএমওএইচ বিধায়ককে জানান, যে আদালতের কাজের জন্য তিনি বাইরে আছেন। শনিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত অসুস্থদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৭২ জনে। ৭২ জন অসুস্থর মধ্যে ৪০ জনের বেশি রয়েছে শিশু। পরে সংখ্যাটা আরও বাড়তে থাকে। অসুস্থদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি ও কারণ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে এসে রোগী ও তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন বিশ্বজিৎ মোদক, মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা, সাঁইথিয়া ব্লকের বিডিও, সাঁইথিয়া থানার ওসি সিউড়ি থানার আইসি সহ অন্যান্যরা।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক বলেন, ‘আমি হাসপাতালে এসে রোগী ও তাদের আত্মীয়তার সঙ্গে কথা বলে দেখলাম খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান।’ তিনি জানান, এই ঘটনা ঘটলো তা আমি খতিয়ে দেখতে বলেছি। এর আগেও এরকম ঘটনা রাজনগরে ঘটেছে তবে এক্ষেত্রে সেই রকম আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তাদেরকে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকেরই শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।