নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে দমদম জংশন স্টেশন। যদিও সেই কাজ শেষ হওয়ার পর ২ দিন কেটে গেলেও এখনও ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের একটা বড় অংশের। শিয়ালদা মেন লাইন হোক বা বনগাঁ শাখা, দমদম স্টেশনে ঢোকা কিংবা বেরনোর সময় অনেক ট্রেনকেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। একদিকে যেমন কর্মস্থলে বা অন্যান্য যায়গার ঢুকতে দেরি হচ্ছে, তেমনই অফিস ফেরত মানুষকেও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তির মুখে।তবে এর মাঝে একটা সুখবর অবশ্য ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের পরেই শিয়ালদা লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র আগেই জানিয়েছিলেন, নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের পর ট্রেন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এতদিন যেখানে ২৯৬টি ট্রেন চালান হত, এবার সেখানে ৩৪৪টি ট্রেন চালান সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা যে কোনও সময় বৃদ্ধি করা যাবে বলেই জানিয়েছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।

নতুন ট্রেনগুলি ১২ বগি?

ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে, খুব স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের একটা অংশের মনে প্রশ্ন, নতুন যে ট্রেনগুলি বাড়বে, সেগুলি কি ১২ বগির হবে? এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, ওইগুলিকে ১২ বগি করার চেষ্টা চালান হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাস্তবেই তেমনটা হলে শুধু ট্রেনের সংখ্যাই বাড়বে না, সঙ্গে ১২ বগিও পাবেন যাত্রীরা।

১২ বগির ট্রেন চালানোর উদ্যোগ

এক্ষত্রে উল্লেখ্য, শিয়ালদা শাখায় দীর্ঘদিন ধরেই ১২ বগির ট্রেন বৃদ্ধির দাবি জানান হচ্ছে যাত্রীদের পক্ষ থেকে। আর সেই দাবি পূরণের লক্ষে সম্প্রতি শিয়ালদা স্টেশনে ১২ বগির ট্রেনের জন্য উপযুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করতে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছে পূর্ব রেল। স্টেশনের ১, ২, ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিশেষ উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১২ বগির ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা (টার্গেট) নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। আর এবার নতুন ট্রেনগুলিও ১২ বগি করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। সেই জায়গা থেকে সাময়িক ভোগান্তির পর শিয়ালদা ডিভিশনে যাত্রীদের জন্য ‘আচ্ছে দিন’ আসতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version