পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় জনগর্জন সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র নিশানা করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ফের একবার ক্ষমতায় এসে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও লক্ষ্মীরভাণ্ডার বন্ধ করার চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অভিষেক। একইসঙ্গে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক। তিনি সাফ জানান, তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করলে, আগামী ৩১ ডিসেম্বেরের মধ্যে বাড়ির টাকার প্রথম ইনস্টলমেন্ট আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলেও আশ্বাস দিলেন অভিষেক।অভিষেক বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আগামীদিনে যে যেখানে রয়েছেন, যে গ্রামে রয়েছেন, যে অঞ্চলে রয়েছেন, আপনাদের ভোট, আপনাদের পরিবারের ভোট, বাংলার অধিকারের স্বার্থে, আপনার অধিকারের স্বার্থে, মাথার ওপর ছাদের অধিকারের স্বার্থে। বাংলা বিরোধীদের সঙ্গে এই লড়াইয়ে তৃণমূলের হাত যদি আপনার শক্তিশালী করেন, যে যে পঞ্চায়েত থেকে এসেছেন, বা আমার কথা শুনছেন, আমি এই মঞ্চ থেকে আপনাদের কথা দিচ্ছি, কারও কাছে হাত পাততে হবে না, আগামী ৬ মাসের মধ্যে, আপনাদের বাড়ির টাকার ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে, প্রথম ইনস্টলমেন্টটা ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।’
এখানেই শেষ নয়, আরও বলেন, ‘আগামীদিনে যদি এরা (বিজেপি) শক্তিশালী হয়, এরা প্রথম এসে চেষ্টা করবে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কী করে বন্ধ করা যায়!’ এদিন ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন অভিষেক।
এখানেই শেষ নয়, আরও বলেন, ‘আগামীদিনে যদি এরা (বিজেপি) শক্তিশালী হয়, এরা প্রথম এসে চেষ্টা করবে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কী করে বন্ধ করা যায়!’ এদিন ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকার। পালটা আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এরই মাঝে দেশে নির্বাচন ঘোষণার কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা না দিলে, সেই টাকা রাজ্য সরকারই দিয়ে দেবে। আর এবার সেই টাকার প্রথম কিস্তির পৌঁছে দেওয়ার সময়সূচি কার্যত ঘোষণা করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে এদিনের সভা মঞ্চ থেকে এনআরসি ও সিএএ নিয়েও সরব হতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কাগজ খুঁজে না পেয়ে এবং এনআরসি ও সিএএ-র ভয়ে টালিগঞ্জ এলাকায় একজন তরুণ আত্মঘাতী হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।