উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগেই শেখ সিরাজুদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে গ্রেফতার করে CID। বর্তমানে তিনি আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে আছেন। দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত শেখ সিরাজুদ্দিনকে খুঁজছিলেন CID আধিকারিকরা। কিন্তু তিনি পালিয়ে বেড়ানোয় তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না বলে খবর। অবশেষে CIDর জালে তিনি।
প্রসঙ্গত, ইন্দপুরের শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ সিরাজুদ্দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ‘প্রভাব খাটিয়ে’ স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘বাতিল’ প্যানেল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ইন্দপুরের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাই স্কুলে জেসমিন খাতুন শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন বলে খবর। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি CID তাঁকে গ্রেফতার করে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁকে বহিষ্কারের কথা জানায় আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এর আগে মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে সুপারিশপত্র জাল করে নিয়োগের ব্যাপারে তদন্ত করছিল CID। সেই তদন্তের মাঝেই বাঁকুড়ার দুর্গানিকেতন হাই স্কুলের ঘটনা সামনে আসে। জানা যায়, ২০১২ সালে SSC-র প্যানেলে নাম ছিল জাসমিনা খাতুনের। এরপর ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু, ২০১৯ সালে প্রভাব খতিয়ে ওই প্যানেল থেকে চাকরি পান জাসমিনা খাতুন। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে CID। এর আগে জাসমিনা খাতুনকে ধরা গেলেও শেখ সিরাজউদ্দিন এতদিন ধরে অধরা ছিলেন। স্ত্রীর গ্রেফতারির প্রায় মাস খানেক পর তাঁকে গ্রেফতার করা হল।