এটিএম ঢুকে টাকা তুলতে অসুবিধা হচ্ছিল এক প্রৌঢ়ার। এটিএম মেশিনের কার্যকারিতা বুঝতে না পেরে একজনকে সাহায্যের জন্যে অনুরোধ করেন। তখনও বুঝতে পারেননি সাহায্যের ছলে বড় বিপদ ডেকে আনবেন সেই ব্যক্তি। মহিলাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন সেই ব্যক্তি। হাত সাফাই করে বদলে ফেলেন সেই কার্ড। পরে মহিলা বুঝতে পারেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ। ঘটনা হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ৪ ঠা মার্চ শ্রীরামপুরের মাহেশে একটি এটিএম এ মঞ্জু মণ্ডল নামে এক প্রৌঢ়া এটিএম কিয়স্ককে টাকা তুলতে গেলে তালে সাহায্য করার নাম করে এটিএম কার্ড বদল করে নেয় প্রতারক এক যুবক। এরপর কোন্নগরের একটি এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেয় । ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করতে গিয়ে দেখতে পান প্রৌঢ়া। এরপর দেখেন তার কার্ড বদল করে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি বুঝতে পেরে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ জানান প্রৌঢ়া। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ও চন্দননগর পুলিশের ডিডি টিম ঘটনার তদন্তে নামে। সিসি ক্যামেরা দেখে একটি চার চাকা গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিশ। খোঁজ শুরু হয় সেই গাড়ির। আজ শ্রীরামপুর নগার মোরে নাকা চেকিং করার সময় আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ২০০ টি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। রাজু বর্মন, শুভম মাল, সঞ্জিব মাইতি, সুবীর সেখ ও সনৎ নস্করকে গ্রেফতার করে।

ধৃতদের বাড়ি বারুইপুর ও রায়দিঘী এলাকায়। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস বলেন,ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের টার্গেট বয়স্ক মানুষ মূলত যারা এটিএম ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন না তারা। এটিএম কিয়স্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে প্রতারকরা।

Cyber Crime : ফেক ‘পুলিশ’-এর ফেক ব্ল্যাক‘মেল’, প্রতারণার নয়া ফাঁদ
এমন বয়স্ক মানুষ দেখলেই সাহায্যের অছিলায় এটিএম বদল করে নেয়।এর আগে এই দলটি রায়দিঘী থানা ও লালা বাজারে গ্রেফতার হয়েছিল।গত দু বছরে আনুমানিক পঞ্চাশ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে। আগে ট্রেনে বাসে করে ঘুরে ঘুরে হাওড়া হুগলি দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় প্রতারণা করলেও ইদানিং একটি চার চাকার গাড়ি ভাড়া তারা। সেই গাড়িটি পাঁচশ টাকা দৈনিক ভাড়ায় একজন নিয়ে আসে। তাকেও সঙ্গে নেয় চক্রটি। সেই গাড়িই ধরিয়ে দিল অপরাধীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version