এক সময়ের অভিনয় জগতের সতীর্থ রচনা সম্পর্কে এদিন লকেট বলেন, ‘রাজনীতিতে আসতে গেলে ত্যাগ করতে হয়। আমি দশ বছর সব কিছু ত্যাগ করে এসেছি। টিকিট না পেয়ে শুধু মানুষের জন্য সেবা করুক এসে। ত্যাগ করেই আমি এসেছি।’ যে কর্মীর বাড়িতে চা পান করেন লকেট সেই শুকদেব মণ্ডলের মাটির ঘর। লকেট বলেন, ‘বিজেপি কর্মী বলে তাঁর আবাস যোজনার ঘর হয়নি। আর তৃনমূল নেতাদের বড় বড় বাড়ি হয়েছে।’
অন্যদিকে হুগলি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি থেকে রোজগারের চিন্তাভাবনা নেই। তিনি নিদের পেশাকে সম্মান করেন। আমরাও চাই না, কেউ তাঁর পেশাকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতি করে বেড়ান। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই চুঁচুড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। সেখানেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসছেন। নির্বাচন মিটে গেলেও তিনি থাকবেন।’
অসিত আরও বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভেবে দেখা উচিত তের লাখ বাড়ির অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কেন টাকা আটকে রাখল। টাকা আটকে রাখার জন্য গরিব পরিবারগুলো বঞ্চিত হয়েছে। আজকে যারা মাটির বাড়ি বা টিনের বাড়িতে আছেন বিজেপি নেতাদেরই দেখা উচিত কেন তাঁরা ঘর পেলেন না।’ উল্লেখ্য আবাসের বাড়ি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই তরজা চলছে। একদিকে যেমন রাজ্যে আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, অন্যদিকে তেমনই কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।