রাজনীতির আঙিনায় হঠাৎ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগমন কী ভাবে? এই নিয়ে জল্পনা ছিলই। বর্তমানে তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তবে, প্রার্থী হওয়ার আগে বিজেপিতে যোগদান কোন পথে? বিষয়টি খোলসা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ হয়। তবে, কোন পথ ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগদান হয় প্রাক্তন বিচারপতির? সেই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু। আজ, মঙ্গলবার তমলুক থেকে প্রচারের কাজ শুরু করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শুরু হয় প্রচারের কর্মসূচি। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে জানান শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি ওঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে অমিত শাহ ওঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওঁর উচ্চতা অনুযায়ী অমিত শাহর সঙ্গে ওঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওঁর অবসর পাওয়ার আগেই উনি ইস্তফা দিয়েছেন। ওঁকে আমাদের দলে পেয়ে আমরা গর্বিত।’

বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে, সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত হন বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন তাঁকে রাজনীতিতে আনার চেষ্টা হল? সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর জবাব, ‘রাজ্যের যে জ্বলন্ত দুটি ইস্যু রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই চাকরি দুর্নীতি।…দুর্নীতির বিরুদ্ধে অকুতোভয় হয়ে, মেরুদন্ড সোজা রেখে লড়াই করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই লড়াইটি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চোখে পড়ে বলে জানান শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari : ‘অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হোক’, ভোটের মুখে দাবি শুভেন্দুর
মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি লোকসভা কেন্দ্রে এলেন। এদিন নন্দীগ্রামে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, বিজেপি অ্যাপ্রচড মি, আই অ্যাপ্রচড বিজেপি। এই কথার পরেই, অভিষেকের খোঁচা ছিল, এটার মানে বিচারপতির চেয়ারে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ ছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version