প্রচারে বেরিয়ে ঘুগনি খেলেন খাওয়ালেন রচনা,বললেন-‘এখানকার দইও ভালো, ঘুগনিও ভালো।’ বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার শিখিরা চাপতা পঞ্চায়েতের বেলেগ্রামে ভোট প্রচারে যান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাস্তার পাশে গরম ঘুগনি বিক্রি হচ্ছে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। নিজে ঘুগনি খান দলীয় কর্মীদেরও খাওয়ান। এরপর মাঠে আলু তোলা হচ্ছে দেখে জমিতে নেমে পড়েন। ক্ষেত মজুরদের সঙ্গে বসে গল্প করেন। পরে হুডখোলা গাড়িতে গ্রামে প্রচার করেন।

এর স্বাদ আমার বাড়ির থেকে অনেক ভালো

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়


ঘুগনির স্বাদে ‘ঘায়েল’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এর স্বাদ আমার বাড়ির থেকে অনেক ভালো। এখানে সবই ভালো। দুধের দই ভালো, ঘুগনিও ভালো। সব ভালো। ‘ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লকেট চট্টোপাধ্যায় তোপ দেগেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘টিকিট পেয়েছিলেন বলে এসেছিলেন। হেরে গেলে আবার দিদি নং ১-এ চলে যাবেন। সেখান থেকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিয়ে এখানে এসেছেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের পালটা এদিন জবাব দিতে শোনা যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘ও তো শ্যুটিংয়ে এসেছিল পাঁচ বছর আগে। আবার চলে গিয়েছিল। আমি সেই রকম নই। আমি ছুটি নিয়ে আসিনি। আমি সবার সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে এসেছি। মন থেকে করব রাজনীতি। মন থেকে করলে সব সময় জয়ী হওয়া যায়। ‘

এদিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দোকানে ঘুগনি খাচ্ছেন, তা ভাবতেও পারছেন না বিক্রেতা সুশান্ত সর্দার। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৫০ প্লেট ঘুগনি নিয়েছেন তিনি। বললেন ভালোই লেগেছে। আমি কখনও ভাবিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার থেকে ঘুগনি কিনে খাবেন।’ এদিন ঠাট্টার সুরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শুধু খেয়েই যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে সিঙ্গুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে দই খেয়ে রচনা বলেছিলেন সিঙ্গুরের জমির ঘাস খেয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট হয়। আর সেই গরুর দুধ থেকে ভালো দই হয়। আমি যখনই বাড়ি যাব তখন দই নিয়ে যাব।’

জিতলে দিদি নম্বর ১-এ হুগলির মহিলাদের আগে ডাক! প্রকাশ্যে ঘোষণা রচনার

প্রসঙ্গত, এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক ছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁরই একসময়ের সহকর্মী টলিউডের জনপ্রিয় মুখ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল। প্রচার ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘দিদি নং ১’ খ্যাত রচনা। এখন দেখার হুগলি কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসে কে!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version