শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী দীপ্তিতা ধর। অন্যদিকে হুগলি থেকে বামেদের টিকিটে লড়ছেন মনোদীপ ঘোষ। নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। প্রচারের মাঝে কেউ খাচ্ছেন মুড়ি চানাচুর বাতাসা, কেউ আবার দুপুরে আলুপোস্ত ভাত দিয়ে মধ্যহ্নভোজন সারছেন কোনও দলীয় কর্মী বা সাধারণ মানুষের বাড়িতে।অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও প্রচারে বের হন শ্রীরামপুর ও হুগলির দুই বাম প্রার্থী। এদিন কোন্নগর সি এস মুখার্জি স্ট্রিটের চটকল মোড় থেকে শুরু করে কোন্নগর পুরসভার ২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। লাল বেলুনে সুসজ্জিত মিছিল বিভিন্ন অঞ্চল পরিক্রমা করে। কখনও টোটো চেপে, কখনও পায়ে হেঁটে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দীপ্সিতা। পরে প্রার্থী দীপ্সিতা বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষ যা খাওয়াচ্ছেন তাই। আমার ব্যক্তিগত কোনও চাহিদা নেই। দুপুরের খাবারটা সাধারণত কোনও কমরেডের বাড়িতে বা এলাকার কোনও মানুষের সঙ্গে খাচ্ছি। আমি আলু পোস্ত খেতে ভালোবাসি, তাই মাঝে মাঝে একটু আলু পোস্ত হচ্ছে।’

অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই ব্যান্ডেল রেল স্টেশন সংলগ্ন বাজারে প্রচার করেন হুগলির লোকসভা কেন্দ্রের বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষ। জনসংযোগের মাঝে চলে ঠোঙায় মুড়ি চানাচুর ও বাতাসা খাওয়া। গরম চায়ে চুমুক দিয়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ও সারেন বামপ্রার্থী। মানুষের আশীর্বাদও প্রার্থনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এই গরমে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফলে শারীরিক সুস্থতার দিকটাও নজরে রাখতে হচ্ছে। এই বিষয়ে শুক্রবার, হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গরমে খাওয়াদাওয়া ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে ফল, ডাবের জল, সিদ্ধ খাবার ও বেশি করে জল খাচ্ছেন বলে জানান রচনা। পাশাপাশি হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, তেমন কোনও নিয়ম নেই, পান্তা ভাত থেকে মুড়ি বাতাসা সবঅ খাচ্ছেন তিনি। এছাড়া ফল, ডাবের জলও খাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গরম অনুভূত হতে শুরু করেছে। সময় যত এগোবে ততই তাপমাত্রার পরদ আরও চড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। যতদিন ভোট চলবে, ততদিনই চলবে প্রচার। তাই প্রার্থীদের সুস্থ থাকাটা প্রার্থীদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই কারণে খুব হালকা খাবারের ওপরেই ভরসা রাখছেন বেশিরভাগ প্রার্থী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version