জলপাইগুড়িতে কয়েক মিনিটের ঝরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা। এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলা জুড়ে অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর। জলপাইগুড়িতে কম-বেশি ঝড়ের তাণ্ডব চলে বলে জানা গিয়েছে।জলপাইগুড়ির বার্নিশ ও পাহাড়পুর সংলগ্ন এলাকা একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ের কারণে। কয়েক মিনিটের জন্য ঝড়ের তান্ডব চলে। জেলা জুড়ে একাধিক জায়গায় ঝড়ের তাণ্ডব থাকলেও বার্নিশ ও পাহাড়পুর সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ের প্রকোপ বেশি ছিল বলে খবর। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যে নামছে বলে খবর। স্থানীয় জেলা প্রশাসনের তরফেও দ্রুত উদ্ধার কার্যে নাম হচ্ছে বলে জানান হয়েছে।

মৃত দু’জনের নাম দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৫২) এবং অনিমা বর্মন (৪৯)। তবে ঝড়ের তাণ্ডব-এর কারণে একাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার কার্য শুরু হতে আহত লোকের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২জন বাসিন্দার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে ঝড়ে গাছের ডালে চাপা পরে মৃত্যু হয় একজনের। জলপাইগুড়ি শহরের সেন পাড়ার ঘটনা। রবিবার দুপুরে খানিক সময়ের ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক ব্যপক ক্ষতি হয়। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। গাছে ডালে চাপা পড়ে গাড়ি। অন্যদিকে দোকান ও বিভিন্ন বাড়ির ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। প্রাণ হাতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিলেন পথ চলতি গাড়ি চালক ও স্থানীয়রা।

বৃষ্টি হলেও স্বস্তি নেই, ৩৬ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা
এ দিন দুপুরে দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি হয়। গোশালা মোড় থেকে রংধামালি যাওয়ার রাস্তার গাছ পরে আটকে যায়। এদিকে গোশালা মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে একাধিক দোকানের টিনের চাল উড়ে যায়। এদিকে সেন পাড়ার গাছের ডালে চাপা পরা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করলো দমকল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে ওই ব্যক্তির গায়ে তাণ্ডব সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। আবহাওয়া দফতরের আগেই পূর্বাভাস ছিল, চলতি সপ্তাহের শেষে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে উত্তরের জেলাগুলিতে। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং তার সঙ্গে বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version