নদীর ঘাটে নৌকা বাঁধা। তবে আশেপাশে কেউ নেই। অবাক আবগারি দফতরে আধিকারিকরা। পরে ঘাটে বাঁধা নৌকা নিয়ে নদী পার হতেই চোখ কপালে ওঠার যোগার তাদের। নদী সংলগ্ন জলাভূমির মধ্যে লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রায় ৮৫০ লিটার চোলাই মদ। অবশেষে সেই চোলাই উদ্ধার করল আবগারি দফতর। এই বিষয়ে আবগারি দফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া চোলাইয়ের মূল্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা।জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে সিদ্ধেশ্বরীর কালসাপা নদী সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালান আবগারি দফতরের কর্মীরা। তবে অভিযানে সেভাবে কিছু পাওয়া যায়নি। আর তাতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। আর তখনই নৌকার বিষয়টি নজরে আসে আবগারি দফতরে কর্তাদের। এরপরেই তাঁরা নৌকা নিয়ে নদীর ওপারে চলে যান। পরে সেখানকার একটি জলাভূমি থেকে বিপুল পরিমান চোলাই মদ উদ্ধার হয়। এই বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলার আবগারি দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অমৃতা কর চৌধুরী জানান, আবগারি দফতরের লাগাতার অভিযানে চোলাই বিক্রি কমে যাওয়ায় সরকারি মদের দোকানে বিক্রি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ – ২৪ আর্থিক বর্ষে হাওড়া গ্রামীণ জেলায় ৫৩৬ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাগনানে চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাকে গিয়ে অভিনব এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন আবগারি দফতরের কর্তারা। গাছ থেকে ১৮০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া চোলাইয়ের বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা। আবগারি দফতর সূত্রে জানা যায়, বাগনানের আবগারি ওসি মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে দফতরের কর্মীরা বাহনানের খাদিনানে এলাকায় অভিযান চালান। যদিও অভিযান চলাকালীন সেভাবে চোলাই উদ্ধার হয়নি। এরপর আবগারি দফতরের কর্মীরা রোদের হাত থেকে বাঁচতে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকার সময় আচমকা ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে থাকে তাঁদের গায়ে। প্রথমে তাঁরা বৃষ্টির ফোঁটা মনে করলেও পরে তা থেকে চোলাই মদের গন্ধ বের হতেই প্রকাশ্যে আসে আসল রহস্য। উপর দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ আবগারি দফতের কর্তাদের।

দেখা যায়, গাছের মগডালে সারি দিয়ে ঝুলছে চোলাই মদের একের পর এক প্যাকেট। এরপরেই গাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ। আবগারি দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, তাঁদের হাত থেকে বাঁচাতেই অভিনব উপায়ে গাছের উপর ওই চোলাই মদ মজুদ করে রাখা হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version