এই সময়: রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের দুই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। এঁরা হলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। তাঁদের জায়গায় নতুন অফিসার নিয়োগ করতে তিনজন করে সিনিয়র অফিসারের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে নবান্নকে।সূত্রের খবর, সেই মতো এদিনই নবান্ন থেকে ছ’জনের নামের প্যানেল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে দু’জনের নাম বেছে নেবে কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, অমিতবাবু গত প্রায় ১০ বছর ধরে সিইও দপ্তরে কাজ করছেন। রাহুলবাবু প্রায় ৬ বছর ধরে কমিশনে রয়েছেন। দু’জনেই কমিশনের অত্যন্ত অভিজ্ঞ অফিসার।

ভোটের মুখে তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ায় স্বভাবতই চিন্তায় পড়েছেন সিইও দপ্তরের আধিকারিকরা। কারণ, নতুন অফিসার আসার পর কমিশনের কাজ বুঝে নিতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। অমিত রায়চৌধুরী এবং রাহুল নাথ, দু’জনের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রতি আগেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এ নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশও জানিয়েছিল তারা।

তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার জন্যই দুই অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে এরকম আরও কয়েকজনকে সরানো হতে পারে। আরও কয়েকটি জেলার ডিএম-এসপি’কেও বদলি করা হতে পারে।

এই বদলির প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। ওরা যখন যা চাইছে, এজেন্সিগুলো তা-ই করছে। এভাবেই ওরা দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।’

বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার পাল্টা যুক্তি, ‘ইলেকশন কমিশনের অফিসে যদি কোনও অফিসার দীর্ঘকাল ধরে থাকেন, তাহলে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যাঁদেরকে সরানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন তো প্রায় ১০-১১ বছর কমিশনে রয়েছেন। আমাদের কাছে খবর ছিল, তাঁরা ওখান থেকে সমস্ত গোপন খবরাখবর বাইরে পাচার করে দিতেন। সেজন্য ওঁদেরকে সরিয়ে কমিশন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে দিলীপের কুরুচিকর আক্রমণ, বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ কমিশনের, কড়া পদক্ষেপ?

লোকসভা ভোট ঘোষণার পর পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে অপসারিত করেছিল কমিশন। একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম জেলার ডিএম’দেরও সরানো হয়। রাজীবের পরিবর্তে একদিনের জন্য অন্তর্বর্তী ডিজিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিবেক সহায়কে। পরে তাঁকে আবার সরিয়ে দিয়ে রাজ্যের পাঠানো তিন সিনিয়র অফিসারের তালিকা থেকে ডিজিপি হিসাবে বেছে নেওয়া হয় সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version