বরানগর উপনির্বাচনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন সায়ন্তিকা। এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক হিসেবে তাপস রায়ের করে যাওয়া কাজ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। একইসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকেও।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি ডোর টু ডোর প্রচার করছি, রাস্তায় বাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, আম কিন্তু কোনও অভিযোগ, বা হয়নি কিছু, এমন কিছু শুনলাম না। এখানে বরনগরবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি আস্থাশীল। ভরসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। সেটা খুব ভাল লাগল দেখে।’

সায়ন্তিকার এই কথার পরেই সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে তাপস রায় দীর্ঘদিন ছিলেন, তাহলে তিনি অনেকটাই কাজ করে রেখেছেন? উত্তরে সায়ন্তিকা বলেন, ‘নিশ্চয়, এবং একজন বিধায়কের তো কাজ করারই কথা। মা মাটি মানুষের সরকার যাঁদের কে মনোনিত করে, যাঁরা জিতে বিধায়ক হন, এটাই তো কাজ তাঁদের, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, সরকারের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।’

এদিকে, এর আগে বরানগরে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সায়ন্তিকা বলেন, ‘তিনি (সজল ঘোষ) হয়ত এটাই বলতে চাইছেন, তাঁদের দলে যে গিয়েছেন, তিনি হয়ত কোনও কাজ করেননি। আমাদের বিরোধী দলের প্রার্থী যদি বলেন এখানে কোনও কাজ হয়নি, তাহলে হয়ত এটাই বলতে চাইছেন যে বর্তমানে তিনি যে দলে আছেন, সেই দলে কাজ না করা একজন বিধায়ক গিয়েছেন।’

এদিন দীর্ঘ কয়েকশো বছরের পুরনো নওদা পাড়া এলাকার শীতলা পুজোয় উপস্থিত হয়ে পুজোও দেন বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো শেষে ক্যারাম খেলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, ‘মা আমাদের মনের কথা জানেন। মা সবার মঙ্গল হোক সেটাই চাইবেন। মা আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস রায়। দীর্ঘদিন বরানগর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাপস। বিজেপিতে যোগদানের আগে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণার পরে সজল ঘোষণকে প্রার্থী করে বিজেপি। অন্যদিকে সায়ন্তিকাকে ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version