এই সময়, বনগাঁ: সম্প্রতি বনগাঁ আদালতের একজন ল’ক্লার্ক মারা গিয়েছেন। শুক্রবার তাই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন ল’ক্লার্ক ও আইনজীবীরা। কিন্তু এ দিন ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টে মামলা চলার অভিযোগে এজলাসের মধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীরা। বিচারকের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।এজলাস কক্ষে আইনজীবীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক সোমা চক্রবর্তী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার এক ল’ক্লার্কের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। যৌথ বারের রেজোলিউশনের কপি সব আদালতেই পাঠিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

গত ৪০ বছর ধরে এই পরম্পরা চলে আসছে বলেই দাবী আইনজীবীদের। কিন্তু কর্মবিরতি চলাকালীন ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট খোলা ছিল। এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। আইনজীবী পায়েল রায় আদালতে মামলা করছেন জানতে পেরে অন্যান্য আইনজীবীরা এজলাসে ঢুকে মামলা চালাতে নিষেধ করেন।

এই নিয়ে বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি চলে। এর পরেই অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনজীবী পায়েল রায় বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট খোলা ছিল। বিচারক উঠেছিলেন। তাই আমি একটা মামলার কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। শুনানি চলছিল।

এরমধ্যে সিনিয়ার আইনজীবীরা এসে মামলা চালাতে নিষেধ করেন। আমি আর কাজ করিনি।’ ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারকের এজলাস আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Jyotipriya Mallick : বেশিই টেস্ট হচ্ছে! বালুর স্বাস্থ্য নিয়ে উষ্মা কোর্টের

বনগাঁ হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিচারক সোমা চক্রবর্তী বলেন, ‘রেজোলিউশন ওদের। আমার নয়। কাজ করব না, মামলা শুনব না বলার অধিকার আমাকে দেওয়া হয়নি। এ দিন তিনজন আইনজীবী মামলা করতে এসেছিলেন। তাই ওঁদের মামলা নিয়েছি। কিন্তু কর্মবিরতি থাকায় এদিন কোনও অর্ডার দিইনি। তারমধ্যে ৩০-৪০ জন আইনজীবী রীতিমতো হামলা চালানোর মনোভাব নিয়ে এজলাসে ঢুকেছিলেন। পেশকার, স্টেনোগ্রাফার থাকায় বড় কিছু ঘটেনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version