গত ৪০ বছর ধরে এই পরম্পরা চলে আসছে বলেই দাবী আইনজীবীদের। কিন্তু কর্মবিরতি চলাকালীন ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট খোলা ছিল। এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। আইনজীবী পায়েল রায় আদালতে মামলা করছেন জানতে পেরে অন্যান্য আইনজীবীরা এজলাসে ঢুকে মামলা চালাতে নিষেধ করেন।
এই নিয়ে বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি চলে। এর পরেই অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনজীবী পায়েল রায় বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট খোলা ছিল। বিচারক উঠেছিলেন। তাই আমি একটা মামলার কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। শুনানি চলছিল।
এরমধ্যে সিনিয়ার আইনজীবীরা এসে মামলা চালাতে নিষেধ করেন। আমি আর কাজ করিনি।’ ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারকের এজলাস আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বনগাঁ হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিচারক সোমা চক্রবর্তী বলেন, ‘রেজোলিউশন ওদের। আমার নয়। কাজ করব না, মামলা শুনব না বলার অধিকার আমাকে দেওয়া হয়নি। এ দিন তিনজন আইনজীবী মামলা করতে এসেছিলেন। তাই ওঁদের মামলা নিয়েছি। কিন্তু কর্মবিরতি থাকায় এদিন কোনও অর্ডার দিইনি। তারমধ্যে ৩০-৪০ জন আইনজীবী রীতিমতো হামলা চালানোর মনোভাব নিয়ে এজলাসে ঢুকেছিলেন। পেশকার, স্টেনোগ্রাফার থাকায় বড় কিছু ঘটেনি।’