NIA-র বিরুদ্ধে সরব হয়ে সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন, রাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘যখন প্যাঁচে পড়েছেন, তখন বলছেন কাকা বাঁচাও, মেসো বাঁচাও।’ ফের বেলাগাম মন্তব্য বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের মুখে। গতকাল প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দিলীপকে। মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল, হাতে লাঠি নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হতে। যা নিয়ে তৈরি হল নতুন বিতর্ক।হাতে লাঠি কেন? দিলীপের জবাব, ‘রাস্তায় অনেক অবাঞ্ছিত লোক সামনে চলে আসছে। তাই সেটা দেখে যদি কোনও কাজ হয় যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের জন্য এই ডান্ডা আছে।’ মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের এজোন পার্কে দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাঁটতে বের হন দিলীপ ঘোষ। সকাল সকাল স্থানীয় এলাকায় জনসংযোগ করলেন তিনি। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সেলফি তোলেন।

অন্যদিকে, সোমবার রাতেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘যাঁদেরকে গালাগাল দিত, যাঁদের সমালোচনা করতে, এমন পরিস্থিতি আজকে তাঁদের পায়ে গিয়ে পড়তে হয়েছে।’ তাঁর দাবি, আজকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাল খারাপ হয়েছে, সেই কারণে একদিন রাজ্যপালের অফিস, একদিন নির্বাচন কমিশনের অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁদের।

সোমবারই চারটি কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রধানকে বদলের জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। NIA তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করে কমিশনকে নালিশ জানিয়েছে তাঁরা। তবে দিলীপের বক্তব্য, ‘NIA যেখানে যাচ্ছে, সেখান তাঁরা বিভিন্ন নথি, টাকা-পয়সা উদ্ধার করছে। জনগণ এগুলি তো দেখতে পাচ্ছে। জনগণ এগুলি দেখতে পাচ্ছে বলে তাঁদের কাছে যেতে পাচ্ছে না। এজেন্সিকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই।’

দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ মহিলাদের, ‘চায়ে পে চর্চা’-য় ব্যাপক উত্তেজনা
NIA এসপির সঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বৈঠক নিয়ে বেশ কিছু প্রামাণ্য নথি তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিনে একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনা হবে বলে তাঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে। এমনকি, এর কিছু নথি দেওয়ার পরেও কেন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করছে না, সে ব্যাপারে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। দিলীপের কটাক্ষ, ‘এখানে ওখানে ফুল-বেলপাতা দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করা যায় না। তার জন্য আদালত আছে, তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। চিঠি লিখুন, হয়ে যাবে। কিন্তু, এসবই শোবাজি হচ্ছে, ওঁরা নিজেরাও জানেন এর ভেতরে কিছু নেই, সব ফাঁকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version